নরেন্দ্র মোদির তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া, সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে হেরে বাধ্য হয়েই বিজেপির এই সিদ্ধান্ত। ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ার ভয়ও আছে এর পিছনে, বলেছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা।
কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মোদি সরকার কী করতে চায়, সে ব্যাপারে ৫ টি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পি চিদম্বরম ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন, গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের পথে যা অর্জন করা যায় না, তা পাওয়া যায় আসন্ন নির্বাচনের ভয়ে!
হৃদয় বদল বা নীতিগত বদলের জেরে প্রধানমন্ত্রী তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেননি, এর পিছনে আছে ভোটে ভরাডুবির ভয়! যাই হোক, কৃষকদের ও যে কংগ্রেস দল কৃষি আইনের বিরোধিতায় অটল থেকেছে, এটা তাদের বড় জয়।
তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণাকে প্রধানমন্ত্রীর ঔদ্ধত্যের পরাজয় বলে উল্লেখ করে কংগ্রেসের মিডিয়া ইনচার্জ রণদীপ সুরজেওয়ালার দাবি, যে কৃষকরা কৃষি আইনের প্রতিবাদে রাস্তায় বসতে বাধ্য হলেন তাঁদের ও যে ৭০০-র বেশি কৃষক গত ১ বছরে মারা গেলেন, তাঁদের পরিবারের কাছেও ক্ষমা চাওয়া উচিত মোদির।
পাশাপাশি সুরজেওয়ালা জানতে চান, কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়ার রূপরেখা কী? কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার রাস্তা কী? কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতি করছে ডিজেলের ওপর ডিউটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত। তা তুলে নেওয়ার সময়সীমা কী? সরকার কি সার, বীজ, কীটনাশক, ট্র্যাক্টরের সহ কৃষি সামগ্রীর ওপর চাপানো জিএসটি তুলে নেবে? ঋণ মকুব করার ব্যাপারেই বা সরকার কী ভাবনাচিন্তা করছে?
প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও দাবি করেন, আগামী কয়েকটি রাজ্যে মুখ পুড়বে অনুমান করে প্রধানমন্ত্রীর বাস্তবটা উপলব্ধি হচ্ছে যে, দেশটা তৈরি করেছেন কৃষকরাই। মোদি আজ তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করে কৃষকদের খেতে, ঘরে ফিরে যেতে বলেন। সেই প্রেক্ষাপটে প্রিয়ঙ্কা।
বলেন, ৬৫০ চাষি শহিদ হলেন, ৩৫০ দিনের বেশি সংগ্রাম হল। নরেন্দ্র মোদিজী আপনার নেতার ছেল কৃষকদের গাড়ি চাপা দিয়ে মেরেছেন, আপনি কেয়ারই করেননি। আপনার নেতারা কৃষকদের অপমান করে সন্ত্রাসবাদী, বিশ্বাসঘাতক, গুন্ডা, দুষ্কৃতী বলেছেন। আপনি নিজে ওদের আন্দোলনজীবী বলে কটাক্ষ করেছেন। ওদের লাঠিপেটা, গ্রেফতার করা হয়েছে।