আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে দেশের বাজারেও তার প্রতিফলন হবে এমনটা স্বাভাবিক মনে হলেও প্রধানমন্ত্রী মােদির তা নিয়ে অবশ্য কোনও হেলদোল নেই, কমল নাথ সরকারকে উৎখাত করার কৌশল নির্ণয়ে ব্যস্ত বলে কটাক্ষ করলেন রাহুল গান্ধি।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামে লক্ষণীয় মাত্রায় ধস নেমেছে- এক ধাক্কায় ৩৫ শতাংশ দাম কমেছে। অথচ দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দামে কোনও প্রভাব পড়েনি। প্রধানমন্ত্রী মােদি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার পর্যাপ্ত সুবিধে দেশের মানুষের হাতে পৌছে দিতে পারেননি। তিনি এখন উত্তরপ্রদেশ সরকারকে ফেলে দেওয়ার কৌশল তৈরিতে ব্যস্ত।
তিনি বলেন, খুব স্পষ্ট করে বললে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার ফলে দেশেও জ্বালানি তেলের দাম কমার সুবিধা থেকে দেশবাসী বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার কৌশল নির্ণয়ে যখন ব্যস্ত, আন্তর্জাতিক বাজারে যে তখন জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৩৫ শতাংশ কমে রেকর্ড তৈরি করল সেদিকে কোনও প্রক্ষেপ নেই। ফলে দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমার সুবিধা কিন্তু ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি টুইট করে লেখেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী আপনি মধ্যপ্রদেশে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে যখন ব্যস্ত ছিলেন, তখন আপনি খেয়াল করেননি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেকটা কমেছে। আপনি কি দেশবাসীকে প্রতি লিটার পেট্রল ৬০টাকার মূল্যের কমে দয়া করে ক্রয়ের সুবিধে পাইয়ে দিতে পারবেন? আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমার সুবিধে নিতে পারলে দেশের মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতিকে চাঙ্গা কা সম্ভব হবে। গত আট মাসে জ্বালানি তেলের দাম প্রথমবার ৭১ টাকার নিচে নামল। আন্তর্জাতিক বাজারে ৩১ শতাংশ দাম কমে দ্বিতীয়বার রেকর্ড তৈরি করল।