নিজ্জর হত্যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কোনও যোগ নেই, অবস্থান বদলাল কানাডা 

খলিস্তানি জঙ্গি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কোনও যোগসূত্র নেই। নিজ্জরকে হত্যার পরিকল্পনা জানতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কানাডার সংবাদপত্রে প্রকাশিত এই খবর খারিজ করেছে জাস্টিন ট্রুডোর সরকার। শুধু প্রধানমন্ত্রীই নন, নিজ্জর হত্যার ঘটনায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের জড়িত থাকারও কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে কানাডা সরকার। 
 
বুধবার কানাডার এক সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, নিজ্জরকে হত্যার পরিকল্পনা কষেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই পরিকল্পনার কথা জানতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকেও এই পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। এর পরেই খলিস্তানি জঙ্গিনেতাকে হত্যার ছক কষা হয়। জাস্টিন ট্রুডোর সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিককে উদ্ধৃত করে ওই মিডিয়া রিপোর্টে এই দাবি করা হয়।  
 
এই বিষয়ে প্রিভি কাউন্সিলের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।  বিবৃতিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা প্রিভি কাউন্সিলের ডেপুটি ক্লার্ক নাথালি জি ড্রউইন বলেন, ‘দেশে একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য গত ১৪ অক্টোবর ভারতীয় দূতের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তোলে কানাডা। দেশের তৎকালীন আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি সামাল দিতে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয় কানাডা সরকার।’
 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে , ‘তবে সেই সমস্ত ঘটনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জড়িত থাকার উল্লেখ বা প্রমাণ মেলেনি। কানাডার কোন অপরাধের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া যায়নি। সুতরাং, এই বিষয়ে প্রকাশিত সমস্ত তথ্য মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন।’ 
 
উল্লেখ্য, নিজ্জর খুনের পর থেকেই কানাডা বারবার দাবি করে এসেছে, খলিস্তানি নেতার মৃত্যুর নেপথ্যে ভারতীয় কূটনীতিকদের ভূমিকা রয়েছে।কানাডার সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টকেও খারিজ করে দেয়  দিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা সাধারণত মুদিয়া রিপোর্ট নিয়ে মন্তব্য করি না। তবে কানাডা সরকারকে উদ্ধৃত করে এই ধরণের সংবাদ প্রকাশ ‘হাস্যকর’ ।  বিদেশমন্ত্রকের তরফে একে  ‘ভিত্তিহীন’ বলেও দাবি করা হয়।এটি অবহেলার সঙ্গে খারিজ করা উচিত।’  ভারতের দুর্নাম করার চেষ্টা করলে কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও খারাপ হবে বলে হুঁশিয়ারিও দেয় ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক।