ক্রমশ স্থলপথের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর জেরে ওড়িশা, অন্ধ্র প্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে উপকুলাঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় মােকাবিলায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তার জন্য তড়িঘড়ি বৈঠক ডাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
পরিস্থিতি পর্যালােচনার জন্য বৃহস্পতিবার ক্যাবিনেট সচিব, মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় মােকাবিলা দফতরের আধিকারিক সহ দিল্লির আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। প্রাকৃতিক বিপর্যয় সামলাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আর কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলােচনা করতেই এই বৈঠক বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানান হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেনে। প্রতি মুহুর্তে খবর রাখতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী আছড়ে পড়ার পর যাতে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় তার জন্য প্রতিরক্ষাবাহিনীকে মােতায়েন রাখা হয়েছে। নৌবাহিনী, বায়ুসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী, এনডিআরএফ এবং ওড়িশার বিপর্যয় মােকাবিলা বাহিনীকে তৈরি থাকার কথা জানান হয়েছে। আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে জাহাজ থেকে হেলিকপ্টার সবই ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। দুর্যোগ কবলিত এলাকায় মানুষকে উদ্ধার করতে এবং সেখানে ত্রাণ সামগ্রি পৌছে দিতে মােট ২৮টি টিম মােতায়েন করেছে এনডিআরএফ। ওড়িশায় আছে ১২টি, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ১২টি করে। বাড়তি ৩০টি দলকে তৈরি রাখা হয়েছে। প্রয়ােজন অনুযায়ী বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর আক্রান্ত রাজ্যগুলির প্রশাসনের সঙ্গে যােগাযােগ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্ধারকাজ এবং ত্রান সামগ্রী যথাযথ জায়গায় পৌছে দিতে সরকারি আধিকারিকদের সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
ইতিমধ্যেই ওড়িশার স্কুল-কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে গরমের দুটি এগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। আগামীকাল থেকে দুমাসের স্কুলে ছুটি থাকবে।