পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে চারটিতে জয়ী হয়েছে বিজেপি। একটিতে আপ। পাঞ্জাবে আপ’-এর অভাবনীয় উত্থান ঘটেছে।
আগামী দিনে সর্বভারতীয় স্তরে আরও বেশি করে নিজেদের বিকশিত করতে আম আদমি পার্টির কর্ণধার অরবিন্দ কেজরিওয়াল যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন, তা বলাই বাহুল্য।
তবে, আগামীতে মোদি বিরোধিতার অন্যতম মুখ কেজরিওয়াল হয়ে উঠতে পারেন কিনা, তা সময়ই বলবে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে আপ’- এর মতো একটি আঞ্চলিক দল দুই রাজ্যের সরকার গড়ে রেকর্ড তৈরি করেছে।
তবে, আপ ভালো ফল করলেও এখনও তৃণমূল কংগ্রেসকে টেক্কা দেওয়ার মতো জায়গায় নিজেদেরকে নিয়ে যেতে পারেনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল, এমনটাই মনে করেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মতে, কেবলমাত্র দিল্লি-পাঞ্জাবের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে আপ’কে এখনও সফল বলার সময় আসেনি।
পিকে’র যুক্তি, দিল্লি ও পাঞ্জাবের রাজনীতির ফ্যাক্টরগুলি অন্যরকম। দিল্লির বাইরে গো-বলয় এবং বাংলায় ভোটের খেলা অন্যরকম।
দিল্লি পাঞ্জাবে বিজেপিকে হারানো আর গো-বলয়ে লড়া এক নয়। লক্ষ্য করার মতো বিষয়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি উত্তরাখণ্ড ও গোয়ায় মোটেও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি।
তেমন করেই বাংলাতেও হালে পানি পেতে এখনও অনেক বেগ পেতে হবে আপ’কে বলে দাবি প্রশান্ত কিশোরের। আম আদমি পার্টির পাঞ্জাব দখলের পর পাখির চোখ বাংলা।
সেই লক্ষ্যে এবার মহিলা ব্রিগেডকে মাঠে নামাতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল। পাঞ্জাবের পর এবার বাংলা দখলে অভিযান করতে চলেছে আম আদমি পার্টি।
ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের মতে, পাঞ্জাব জিতলেও বাংলায় তৃণমূলের প্রতিপক্ষ হতে পারবে না অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল।
আইপ্যাকের কর্ণধারের কথায়, আম আদমি পার্টি আসলে স্টার্ট আপ। রাজনীতির এই স্টার্ট আপ ইউনিকর্ন হবে কিনা, তা সময় বলবে।
তবে ‘আপ’এর বৃদ্ধি নির্ভর করবে গো-বলয়ে তাঁরা বিজেপির কতটা কঠিন প্রতিপক্ষ হতে পারছে। অন্যদিকে, বাংলার জেলায় জেলায় সংগঠন মজবুত করছে আম আদমি পার্টি।
এ রাজ্যের প্রায় বছ থেকে ৰছটি জেলায় আম আদমি পার্টি ইতিমধ্যেই তাঁদের সংগঠন মজবুত করে ফেলেছে বলে দাবি।
আইপ্যাক কর্ণধারের মতে, সত্যিই আবার কড়া প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হলে শুধুমাত্র কংগ্রেসি আদর্শকে এক রেখে বদলে ফেলতে হবে পুরো খোলনলচে।
প্রসঙ্গত, পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলে ভরাডুবি কংগ্রেসের। পাঞ্জাব হাতছাড়া হওয়ার পর দেশে টিমটিম করে জ্বলছে কংগ্রেসের রাজ্যপাট।
অস্তিত্ব হারিয়ে কালের ইতিহাসে ঠাঁই পাওয়ার আগে সংস্কারের প্রচেষ্টা। পাঁচ রাজ্যে হারের খেসারতে পদ খোয়ালেন হাত শিবিরের রাজ্য প্রধানেরা।
উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরের নির্বাচনে হতশ্রী পারফরমেন্সের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ইস্তফা দিতে নির্দেশ কংগ্রেস সভানেত্রীর।
কংগ্রেসের এমন পরিস্থিতির পরেও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের আশা, এখনও চচ্ছ সালে বিজেপিকে টক্কর দিতে পারে কংগ্রেস। তবে তার জন্য বেশ কিছু সংস্কার প্রয়োজন।
প্রসঙ্গে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত আপ নেতা সঞ্জয় বসু বলেন, ‘দিল্লি মডেল প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছি। নাটকীয় পরিবর্তন হবে এবার।
আজ পাঞ্জাবে যা হয়েছিল, তার বীজ বপন করা হয়েছিল গত ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। সই সংগ্রহ করা হয়েছিল।
সদস্য বাড়তে ক্যাম্পেন চালানো হয়েছিল। এবার একটা প্ল্যান অফ অ্যাকশন তৈরি করতে হবে। আমরা রাষ্ট্রীয় নির্মাণ অভিযান করব।’