নভজ্যোৎ সিং সিধুকে কংগ্রেসে আনতে মরিয়া ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। বিজেপি ছাড়ার পর সিধুর সঙ্গে অন্তত ৬০ বার দেখা করেছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু।
পাঞ্জাব ভোটের আগে এক সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে সিধু জানান, “২০১৭ সালে আমাকে কংগ্রেসে আনতে মরিয়া ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। সে সময় আমার সঙ্গে অন্তত সত্তরবার বৈঠক করেছেন পিকে।”
কংগ্রেস নেতা আরও জানান, পিকে বলেছিলেন পাঞ্জাবে কংগ্রেস ৩০-৩৫টা আসন পাবে। আপনি যোগ দিলে আরও সাত-আট শতাংশ ভোট কংগ্রেসের ঝুলিতে আসতে পারে। তার পরে তাঁকে রাহুল গান্ধি ফোন করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২০১৭ সালে অমৃতসরের সাংসদ বিজেপি ছাড়েন। তারপর আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। যদিও পরে কংগ্রেসে যোগ দেন প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার।
সেবার পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনে ১১৭টির মধ্যে ৭৭ টি আসন জিতেছিল কংগ্রেস। পূর্ব অমৃতসর থেকে জিতে মন্ত্রীও হন সিধু। তাঁর কথায়, একমাত্র রাহুল গান্ধির কথায় আমি কংগ্রেসে এসেছি। গান্ধি পরিবারের প্রতি আমৃত্যু অনুগত থাকব।
কংগ্রেসে সিধুর যোদগানের সময় থেকেই পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং বিরোধিতা করেছিলেন বলেও দাবি করেন সিধু। সিধুর কথায় অমরিন্দর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন। চাইতেন কেউ একটু আমার পাশে দাঁড়াক। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সময় থেকে তিনি আমার বিরোধিতা করছিলেন।
উল্লেখ্য সিধুর সঙ্গে টানাপোড়েনের পরেই কংগ্রেস ছাড়েন অমরিন্দর সিং। আপাতত নতুন দল গড়ে বিজেপি’র সঙ্গে গাঁটছড়া বেধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি।
এদিকে পাঞ্জাবের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের ভোট পরামর্শদাতা ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দরের ইস্তফা দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে পরামর্শদাতার পদ থেকে সরে দাঁড়ান পিকে।