জনসংযোগের অভিনব পথ দেখালেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী

শচীন পাইলট (ছবি-ট্যুইটার)

ভােট বড় বালাই।মানুষের সঙ্গে একাত্ম হতে শহরের বিলাসিতা ছেড়ে গ্রামের আড়ম্বরহীন জীবন বেছে নিলেন রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট।কয়েকদিন ধরে তিনি মরুরাজ্যের গ্রাম সফর শুরু করেছেন।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপির কায়দায় জনসংযােগ করতে চাইছে কংগ্রেস।

লােকসভা ভােটের পর দলের ভরাডুবি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে কংগ্রেসের সামনে উঠে এসেছে নেতানেত্রীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের যােগাযােগের অভাব।মানুষের থেকে ক্রমশ দুরে সরে যাচ্ছে দল।নীচু স্তরের মানুষের সঙ্গে জনসংযােগ কতটা প্রয়ােজন এবার ভালােভাবেই বুঝতে পারছে কংগ্রেস।

রাজস্থানে লােকসভা নির্বাচনে দলের অবস্থা দেখে জনসংযােগে গুরুত্ব দিচ্ছেন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট।রাজ্যের প্রশাসনিক কাজ ছেড়ে তিনি এখন রাজস্থানের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।জালাের , সিরােহি এবং পালির প্রত্যন্ত গ্রামে তিনি কুঁড়ে ঘরে থাকছেন।সােশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে।সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গেছে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট একটি কুঁড়ে ঘরে থাকছেন।উপমুখ্যমন্ত্রীর নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজা , খাটিয়ায় বসে দাড়ি কাটা, সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ করার ছবি ভাইরাল হয়েছে।


সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের জয় পেলেও লােকসভা নির্বাচনে উল্টো ফল দেখা গেছে।রাজস্থানে লােকসভা আসন ২৫টি।তারমধ্যে একটি আসনও পায়নি কংগ্রেস । দলের ভরাডুবির পর মুখ্যমন্ত্রী অশােক গেহলটের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় পাইলটের। গেহটল পুত্র বৈভব গেহলটের পরাজয়ের দায় শচীনের ওপর চাপায় অশােক গেহলট । কংগ্রেসের জনসংযােগ কতটা কাজে আসবে তা ভবিষ্যৎ বলবে।