কেন্দ্র সরকার জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার পর থেকে হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কাশ্মীরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কার্ফুর সঙ্গে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিছিন্ন রয়েছে কয়েকদিন ধরে। টানা ৫ দিন অচলাবস্থা কাটিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের কয়েকটি অংশে ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হল শুক্রবার থেকে। নামাজ পাঠের সুবিধার্থে রাস্তাঘাটেও কার্ফু শিথিল করা হয় কিছুক্ষণের জন্য।
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে রাজ্যের তকমা কেড়ে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘােষণার পর থেকেই পরাে উপত্যকার রাশ চলে যায় সেনা বাহিনীর ওপর। শ্রীনগরে জামা মসজিদে ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ছােট ছােট মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সব মসজিদের আশপাশে প্রচুর নিরাপত্তা রক্ষী মােতায়েন করা হয়েছিল আজ। স্থানীয় মানুষদের আতঙ্কমুক্ত থাকার আশ্বাস দিয়েছে সেনা বাহিনী। পুরাে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে নিরাপত্তা বাহিনী।
আজকে নামাজ পড়ায় কোনও সমস্যা তৈরি না হলে ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে অচলাবস্থা অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করছে প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের প্রধান দিলবাগ সিং সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এলাকাবাসীদের আশেপাশে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এতে কোনও বাধা নেই। তবে এলাকা থেকে বেড়িয়ে অন্য এলাকায় তাঁরা যেতে পারবেন না।
ঈদের কথা মাথায় রেখেই কাশ্মীরে কিছু কিছু এলাকা স্বাভাবিক করার চেষ্টা শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। কিন্তু যে ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করা হয়েছে তাঁদের এখনও সরকারি হেফাজতেই রাখা হচ্ছে। উপত্যকায় যেকোনও ধরণের প্রতিবাদ বা সমাবেশ এড়ানাের জন্যই এই ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র।
রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বহস্পতিবার জম্মু ও কাশ্মীরের সার্কি পরিস্থিতি পর্যালােচনা করে ঈদ উৎসব এবং নামাজ পাঠের জন্য বিধিনিষেধ লঘু করলে কোনও সমস্যা হবে না বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদিও জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে উপত্যকাবাসীকে নির্বিঘ্নে ঈদ পালনের আশ্বাস দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী ভাষণে জানান, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের বাইরে থাকা সেখানকার বাসিন্দারা ঈদের সময় নিজেদের পরিবারে কাছে ফিরে যেতে পারবেন। সরকার তাদের সব রকম সাহায্য করবে’। শ্রীনগরগামী বিমানের জন্য অনেকেই টিকিট কাটার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে।