তিনি বিচারপতির পদ ছেড়ে দিয়েছেন দুই দিন হল। কিন্তু, জল্পনা এখনও থামছে না। তাঁর মামলার শুনানিতে করে যাওয়া চাঞ্চল্যকর মন্তব্য ছুঁয়ে গেছে গোটা দেশবাসীকে। সেজন্য উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের বুলডোজার নীতির বিপক্ষে সুপ্রিম কোর্টের সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি শাসকদলের এই নীতির তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বলেছেন, এভাবে সম্পত্তি নষ্ট করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। গত ৬ নভেম্বর একটি মামলার শুনানির সময় একথা বলেন চন্দ্রচূড়। কার্যত তাঁর নিশানায় উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। এই ধরণের অমানবিক কাজে যুক্ত থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপের নির্দেশ দেন প্রাক্তন বিচারপতি। প্রসঙ্গত সম্প্রতি বুলডোজার নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা চলছে। সেরকমই একটি মামলায় উত্তরপ্রদেশের একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।
ঘটনাটি ২০১৯ সালের। যোগী রাজ্যের মহারাজগঞ্জে একজন সাংবাদিকের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় বর্তমান উত্তরপ্রদেশ সরকারের প্রশাসন। মামলাটি শীর্ষ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মামলার শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি। মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনগণের বাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যও এই নিয়ম মানতে বাধ্য। কোনও বেআইনি নির্মাণ বা জমি দখলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে। বুলডোজারের মাধ্যমে বিচার- এটি সভ্য সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর। যদি রাজ্যের কোনও সরকারি আধিকারিক বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কাজ করা হয় বা অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।’