মহারাষ্ট্রের মসনদ কার তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে- টান টান উত্তেজনায় নতুন সমীকরণের আভাস দিয়ে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরের স্পষ্ট ঘােষণা- ‘শিবসেনা যদি মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসে, তাহলে জনগণ দ্রুত জানতে পারবেন’। বন্যা এলাকগুলােয় পরিদর্শন করতে গিয়ে শিবসেনা প্রধান বলেন, রাজ্যে অকাল বর্ষণে ফসল নষ্ট হয়েছে। ফলে চাষীদের অভাবনীয় ক্ষতির মুখ দেখতে হচ্ছে।
সমালােচনার পথে না হেঁটে ফড়নবিশ নেতৃত্বাধীন প্রশাসন শস্যের ক্ষতিপূরণ বাবদ যে ১০,০০০ টাকার ত্রাণ প্যাকেজ ঘােষণা করেছিল তা যথেষ্ট নয় বলেও কটাক্ষের সুরে বলেন। তিনি বলেন, কি পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়েছে তা বুঝতে হলে পায়ে হেঁটে এলাকায় ঘুরে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে, আকাশপথে হেলিকপ্টারে চেপে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বুঝতে পারা সম্ভব নয়। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ২৫,০০০ টাকা করে ক্ষুতিপুরণ দেওয়া উচিত।
উদ্ধব ঠাকরে দাবি জানান, আরসিইপি (রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ) লাভ কি হবে তা কেন্দ্রকে ব্যাখ্যা করতে হবে। আগামিকাল চুক্তি স্বাক্ষর করার আগে যাবতীয় শর্ত সম্পর্কে জানতে হবে, এটাও জানতে হবে আরসিইপি দ্বারা দেশের কিভাবে উন্নতি হবে। সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে আলােচনাও করা হয়নি।
রিজিওনাল কম্প্রিহেনসিভ ইকনমিক পার্টনারশিপ হল, আশিয়ান ব্লকের দশ সদস্য ও আরও ছটি দেশ মাসুল বিহীন বাণিজ চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে চলেছে। ছ’টি দেশের মধ্যে ভারত, চিন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড রয়েছে। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিনের মধ্যে আপনারা জানতে পারবেন, শিবসেনা প্রশাসনিক ক্ষমতার শীর্ষে বসছে কিনা’। তবে এই মুহুর্তে বিজেপি ধীরে চল নীতি গ্রহণ করেছে- শিবসেনার নীতি, মহারাষ্ট্রের স্বার্থে যেটা ভালাে হবে সে লক্ষ্যে হাঁটতে হবে।
শিবসেনা প্ল্যান বি নিয়ে এনসিপি ও কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গঠনের হিসেব নিকেশ করছে। সামনায় প্রকাশিত রােক টোক বিভাগে দলের নেতা সঞ্জয় রাউত লিখেছে, বিধানসভায় শরিক দল বিজেপি সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণে ব্যর্থ হলে শিবসেনা মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের দাবি জানাবে। ১০৫টা আসন পেয়েছে বিজেপি- শিবসেনাকে ছাড়া যদি সরকার গঠন করতে হয়, তাহলে আরও ৪০ জন বিধায়ক প্রয়ােজন। এতগুলাে বিধায়ক জোগাড় করা মােটেই সম্ভব নয়। কংগ্রেস, এনসিপি ও নির্দল মিলিয়ে সংখ্যাটা ১৭০ ছাড়িয়ে যাবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়ে কিভাবে দক্ষ শাসন চালাতে হয় তা দেখাবে। তিন ভিন্ন মতাদর্শে বিশ্বাসী দল এক সঙ্গে মারাঠা সাম্রাজের উন্নতির কথা মাথায় রেখে রাজ্য শাসন করব। অটল বিহারী বাজপেয়ীও একই পথে গিয়ে শাসন চালিয়েছিলেন। আমরাও মহারাষ্ট্রের জনগণের স্বার্থে ঠিক ওভাবে শাসন চালাব’। তিনি বলেন, ‘অপারেশন লােটাস মহারাষ্ট্রে জমি পেতে ব্যর্থ’।