‘ওয়েনাড়ের মানুষ অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার আশা, সেই ভালোবাসা ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেবেন তাঁরা।তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমাকেই বেছে নেবেন।’ বুধবার ভোটের ময়দানে নেমে প্রথম পরীক্ষার বিষয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দীর্ঘ সময় ধরে মা ও দাদার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে মানুষের জয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা। আর এবার নিজের জন্য ভোট চাইতে গিয়েও দিনরাত এক করে মানুষের কাছে পৌঁছেছেন। তাঁর আশা এই কঠোর শ্রম বিফলে যাবে না। বুধবার সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য উৎসাহ দেন প্রিয়াঙ্কা। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা, আপনারা নির্ভয়ে নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করুন। আজ আপনাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার দিন। সংবিধান যে অধিকার আপনাদের দিয়েছে তা প্রয়োগ করুন। চলুন একসঙ্গে সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি।’
রাহুল গান্ধীর ছেড়ে যাওয়া ওয়েনাড় লোকসভা আসনে বুধবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় উপনির্বাচন। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ে ৬১.৪৭ শতাংশ। এই আসনে ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী সত্যেন মোকেরি লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের প্রার্থী। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন নব্যা হরিদাস। উপনির্বাচন হলেও ওয়েনাড়ের লড়াইয়ে রয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী।বুধবার নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই বোনের সমর্থনে এক্স হ্যান্ডেলে আবেগপূর্ণ একটি পোস্ট করেন রাহুল।মানুষের কাছে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি।
কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হলেও নিজের প্রথম লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখে প্রচারের সময় যথেষ্ট দৌড়ঝাঁপ করেছেন প্রিয়াঙ্কা। সোমবার প্রচারের শেষ দিন সঙ্গে ছিলেন ওয়ানাড়ের ২ বারের সাংসদ রাহুল গান্ধী। মনোনয়ন পেশের দিন প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে রাহুল ছাড়াও হাজির ছিলেন মা সোনিয়া গান্ধী ।
কংগ্রেসের লক্ষ্য হল প্রিয়াঙ্কাকে বিপুল মার্জিনে জেতানো। রাহুল গান্ধীর ২০১৯ ও ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে ওয়ানাডে জয়ের মার্জিন ছিল চার লাখ তিরিশ হাজার এবং তিন লাখ ষাট হাজার। কংগ্রেস নেতাদের আশা, রাহুল গান্ধীর জয়ের মার্জিন ছাপিয়ে যাবেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রায় ৫ মাস আগে শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে কেরলের ওয়েনাড় ও উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি থেকে লড়ে ২টি আসনেই যেতেন রাহুল গান্ধী। পরে তিনি ওয়েনাড় থেকে ইস্তফা দেন। এবারের নির্বাচনে দাদার গন্ডি তিনি পেরোতে পারবেন কিনা, প্রিয়াঙ্কাকে সেই প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘সময় আসলে এর উত্তর সবাই জানতে পারবে।’