লখনউ, ২৪ এপ্রিল – আমেঠির মানুষ রবার্টকেই চাইছেন- এমনই পোস্টার পড়ল আমেঠির কার্যালয়ের বাইরে। আমেঠি থেকে কংগ্রেস কাকে প্রার্থী করবে তা এখনও চূড়ান্ত নয়। বিজেপি এই আসনে স্মৃতি ইরানিকে প্রার্থী করেছে। তবে কংগ্রেসের অন্দরে এখনও প্রার্থী বাছাই নিয়ে নানা টালবাহানা চলছে। এই পরিস্থিতিতে এবার আমেঠিতে কংগ্রেসের কার্যালয়ের বাইরে গান্ধি পরিবারের জামাই রবার্ট বঢরার নামে পোস্টার পড়ায় জাতীয় রাজনীতি ফের সরগরম হয়ে উঠেছে।
২০১৯ সালে রাহুল গান্ধি আমেঠি ছাড়াও কেরলের ওয়েনাড় থেকেও লড়েছিলেন। এবারও কংগ্রেস ওয়েনাড় থেকে রাহুলকে প্রার্থী করেছে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও আমেঠি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
কয়েকদিন আগেই আমেঠি থেকে প্রার্থী হতে চেয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধির স্বামী রবার্ট বঢরা। তিনি দাবি করেন, আমেঠির মানুষ তাঁকে সেখানকার সাংসদ হিসেবে চাইছেন। কারণ, অনেক দিন ধরেই তিনি প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আমেঠীতে কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করেছেন, জনসেবামূলক কাজের সঙ্গেও যুক্ত হয়েছেন। সেখানকার মানুষ চাইছেন, তিনি যেন রাজনীতিতে যোগ দেন।
সেই দাবি প্রকাশ্যে আসতেই জাতীয় রাজনীতিতে ঢেউ ওঠে। প্রশ্ন ওঠে , গান্ধি পরিবারই কি রবার্টকে আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে প্রার্থী করার কথা ভাবছে ? কংগ্রেসের অন্দরেও শুরু হয় জল্পনা-কল্পনা। এমনকি, বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র মধ্যেও গুঞ্জন শুরু হয় ।উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে আসন সমঝোতা হয়েছে। অখিলেশ চান, রাহুল আবার আমেঠি থেকে লড়ুন। প্রিয়াঙ্কাও সোনিয়া গান্ধির পুরনো কেন্দ্র রায়বেরেলী থেকে ভোটে লড়ুন। সে ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশে বিরোধী জোট লড়াইয়ে থাকবে।গান্ধি পরিবার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালে বিজেপি উত্তরপ্রদেশে সুবিধে পেয়ে যাবে। এখন শেষ পর্যন্ত এই আসন থেকে কংগ্রেস কাকে প্রার্থী করযে সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। ।
পঞ্চম দফায় অর্থাৎ ২০ মে এই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ৩ মে এই কেন্দ্র থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।