মনিপুর সংঘর্ষের প্রায় এক বছর পরও অশান্তি না থামায় মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল ওঠে। তবে তৃতীয়বার নির্বাচিত হয়ে এসে বিরোধীদের চাপে সংসদে মণিপুর ইস্যুতে বিবৃতি দেন মোদি। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যটিতে শান্তি ফেরানোর জন্য সবরকমভাবে চেষ্টা করছে সরকার। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনাও চালানো হচ্ছে। তার পরই মণিপুরে প্রথম শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হল।
এই হামর-মেতেই জনজাতির সংঘর্ষের জেরেই অগ্নিগর্ভ মণিপুর। শত চেষ্টাতেও জিরিবাম জেলায় সংঘর্ষে সামিল মেতেই এবং হামর জনজাতির নাগরিকদের থামানো যায়নি । মৃত্যু হয়েছে অগুন্তি মানুষের। ঘরছাড়া হাজারে-হাজারে পরিবার। এই হামররা কুকি সংগঠন কুকি চিন জো গোষ্ঠীর অন্তর্গত। দুই পক্ষের সংঘর্ষে গত এক বছরে বহু রক্ত ঝরেছে। অবশেষে মণিপুর সরকারের উদ্যোগে দুই পক্ষ শান্তি বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকেই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই পক্ষই অস্ত্র ছেড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একে অপরকে সাহায্য করতে সম্মত হয়েছে বলে মণিপুর সরকারের দাবি। মণিপুরের সরকারি সূত্র বলছে, আপাতত এই শান্তিচুক্তি একটি জেলার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও, শান্তি ফেরানোর প্রক্রিয়ায় এটা বড়সড় মাইলফলক হতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের মে মাসে মণিপুরে কুকি-মেইতেই সংঘর্ষ শুরুর পরে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। একটা সময় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ ঘরছাড়া হয়ে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। গত আট মাস ধরে মণিপুরে আজ কার্ফু, কাল গুলিগোলা, পরশু ইন্টারনেট বন্ধ চলছে। এই গত এক বছরে রাজনৈতিক সমাবেশ দেখেনি ইম্ফল বা মণিপুর। যদিও মণিপুর প্রসঙ্গে আশ্চর্যজনক নীরব থেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।