পাটনা, ২০ জুন – বিহারে সংরক্ষণ নিয়ে বড়সড় ধাক্কা খেল নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। বৃহস্পতিবার পাটনা হাইকোর্ট তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি , অনগ্রসর শ্রেণি , অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির জন্য ৬৫ শতাংশ সংরক্ষণ বাতিল করে দেয়। বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত বলেছে, যেভাবে এই সংরক্ষণ কার্যকর করা হয়েছে তা বেআইনি। সুপ্রিম কোর্টের রায় , সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি হওয়া যাবে না। ওই রায় বহাল থাকা সত্ত্বেও কী করে রাজ্য সরকার নয়া সংরক্ষণ চালু করেছিল, সেই প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।
নীতীশ কুমার সরকার গত বছর রাজ্যে জাতিগত জনগণনা করান। জন গণনার রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিহারে সংরক্ষণ পদ্ধতি আমূল বদলে ফেলেন নীতীশ কুমার। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি , অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি। জাতি গণনায় জানা গিয়েছিল রাজ্যের ৬৫ শতাংশ মানুষ আর্থিকভাবে পিছিয়ে। তাদের আর্থ-সামাজিক বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের পরিমাণ ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। জাতি গণনার রিপোর্ট হাতে আসার মাস খানেকের মধ্যেই সংরক্ষণ বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিহার সরকার। সেই প্রস্তাব বিধানসভায় পাশ হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমা লঙ্ঘন করে।
নীতীশ সরকারের দাবি ছিল, আর্থ-সামাজিক বৈষম্য থেকে রক্ষা করতে সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের পরিমাণ ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়মবিরুদ্ধ বলে উল্লেখ করে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল করেন বিচারপতিরা।
সংরক্ষণের ওই নীতি কার্যকরের সময় নীতীশ ছিলেন আরজেডি-র নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক। সংরক্ষণ বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে লালুপ্রসাদের দলেরও সমান যোগদান ছিল। নয়া সংরক্ষণ কার্যকরের পর শিবির বদলে ফের বিজেপির হাত ধরেন জেডিইউ নেতা। আগামী বছরের নভেম্বরে বিহার বিধানসভার ভোট হওয়ার কথা। তার আগে সংরক্ষণ নিয়ে জটিলতা কাটাতে না পারলে নীতীশকে বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।