দীর্ঘক্ষণ ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার পরও দরজা খোলেনি। আর তাই ক্ষুব্ধ হয়ে প্রয়াগরাজগামী ট্রেনে হামলা চালালেন কয়েকজন যাত্রী। ঝাঁসি থেকে প্রয়াগরাজ যাচ্ছিল ট্রেনটি। হরপালপুর স্টেশনে হামলা চালানো হয় ট্রেনটিতে। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ট্রেনের জানলা-দরজা লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হচ্ছিল।
একটি ভিডিওতে এক যাত্রীকে বলতে শোনা যায়, রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ট্রেনটি ঝাঁসি থেকে ছেড়ে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দেয়। হরপালপুর স্টেশনে পৌঁছানোর পরেই ট্রেনটির ওপর হামলা চালানো হয়। ওরা ট্রেন লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। ট্রেনের ভিতরে মহিলা ও শিশুরা ছিল। ওরা যাত্রীদের খুন করতে চেয়েছিল।
প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে। ধর্মীয় উৎসবে যোগ দিতে কাতারে কাতারে মানুষ সেই সমস্ত স্পেশাল ট্রেনে চেপে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন।
জানা যাচ্ছে, প্রচুর মানুষ ওই ট্রেনে উঠবেন বলে হরপালপুর স্টেশনে অপেক্ষা করছিলেন। ঝাঁসি থেকে হরপালপুর দু’ঘণ্টার রাস্তা। ট্রেনটি হরপালপুর পৌঁছতেই পুণ্যার্থীরা ট্রেনে ওঠার চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু দেখা যায়, দরজা বন্ধ রয়েছে। এরপরই উত্তেজিত যাত্রীরা হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন। ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন তাঁরা। এর ফলে ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা তুমুল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
হরপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি পুষ্পক শর্মা বলেন, রাত ২টো নাগাদ ট্রেনটি স্টেশনে পৌঁছালে কিছু লোক পাথর ছোড়ে। রেলের মুখপাত্র মনোজ সিং জানিয়েছেন, প্ল্যাটফর্মে যাত্রীরা অপেক্ষা করছিলেন। ট্রেন আসার পর ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলেও দরজা বন্ধ দেখতে পান তাঁরা। রেল পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লোকজনকে শান্ত করে তাঁদের যাত্রাপথে পাঠিয়ে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ইট ও পাথরের আঘাতে ভেঙে যায় ট্রেনের বেশ কয়েকটি কামরার জানলা ও দরজার কাচ।
এর আগেও প্রয়াগরাজগামী ট্রেনে হামলা চালানো হয়েছে। গুজরাতের সুরাত থেকে উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজগামী তাপ্তি গঙ্গা এক্সপ্রেসে মহারাষ্ট্রের জলগাঁও এলাকায় হামলার ঘটনাটি ঘটে। চলন্ত ট্রেন লক্ষ্য করে একাধিক পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। আঘাতে ভেঙে যায় বি৬ কামরার জানালার কাচ।
