• facebook
  • twitter
Wednesday, 16 April, 2025

উড়ানে বিলম্ব, ক্ষুব্ধ যাত্রীদের ভিড়, পদপিষ্ট অবস্থা দিল্লি বিমানবন্দরে

কর্তৃপক্ষের তরফে সঠিকভাবে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি যাত্রীদের।

ফাইল চিত্র

দিল্লি বিমান বন্দরে বিশৃঙ্খলা। একের পর এক উড়ানে বিলম্ব। চারটি রানওয়ের মধ্যে একটি মেরামতির জন্য বন্ধ। তার জেরেই বিশৃঙ্খলা। দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঁচ দিন ধরে এই পরিস্থিতি। শুক্রবার ধুলোঝড়ে বিপর্যস্ত দিল্লি। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত বিমান চলাচল। বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। অভিমুখও বদল করা হয়েছে একাধিক বিমানের। আর এই বিভ্রাটের জেরে দিল্লি বিমানবন্দরে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

গত মঙ্গলবার থেকে রানওয়ে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। টানা হয়রানির শিকার হওয়ায় যাত্রীরা ক্ষোভ উগরে দিলেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ফ্লাইটের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষারত যাত্রীদের ভিড়ে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। কার্যত পদপিষ্ট পরিস্থিতি তৈরি হয় দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই এয়ারপোর্টে। তার জেরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন যাত্রীরা।

শুধু যে উড়ান রানওয়ে মেরামতির কাজেই সমস্যার সঞ্চার হয়েছে তা নয়, বাঁধ সেধেছে আবহাওয়াও। আবহাওয়ার অবনতি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠেছে। একের পর এক ফ্লাইট বিলম্বের কারণে যাত্রীরাও ধৈর্যচ্যুত হন। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত ৯ এপ্রিল থেকে প্রতিদিন ২০০টি করে উড়ান ওঠানামা করছে না। কর্তৃপক্ষের তরফে সঠিকভাবে কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি যাত্রীদের। এক যাত্রী জানান, ‘দিল্লি বিমানবন্দরে বিভ্রান্তিকর এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ‘ফ্লাইট লেট’ বড় কথা নয়। কিন্তু কেন লেট, নির্ধারিত সময় কী? সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও তথ্য না পাওয়ায় অবাক হচ্ছি।’

এদিকে দিল্লি বিমান বন্দরের প্রতিটি গেটে বিক্ষোভ চলছে। রীতিমতো উত্তপ্ত অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে বিমানবন্দরের কর্মীরাও অসহায় বোধ করছেন। কারণ তাঁদের কাছেও স্পষ্ট কোনও নির্দেশিকা নেই।

ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত মেরামতির কাজ চলতে পারে দিল্লি বিমানবন্দরের রানওয়েতে। এ ছাড়াও ১৫ এপ্রিল থেকে দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২-ও বন্ধ করে দেওয়া হবে মেরামতির জন্য। সুতরাং সব মিলিয়ে দিল্লি এয়ারপোর্টে যাত্রী দুর্দশা চলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।