ট্রাক্টর মিছিলের পর এবার সংসদ অভিযান। তবে সাধারণতন্ত্র দিবসের গণ্ডগােল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার পায়ে হেঁটে অভিযানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংযুক্ত কিষাণ মাের্চার নেতারা। সাধারণতন্ত্র দিবসের পরেই সংসদ অভিযানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কৃষক নেতারা।
বলা হয়, কেন্দ্র বলেছে মাণ্ডির বাইরে শস্য বিক্রি করা যাবে। তাই তারা সংসদে গিয়ে ফসল বিক্রি করবেন। এদিন আরও একবার সেই কর্মসূচিতে সিলমােহর দেন তাঁরা। গত বাদল অধিবেশনে পাশ হওয়া তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে গত বছরের ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির বিভিন্ন সীমানায় আন্দোলন করছেন দেশের অন্নদাতারা।
এছাড়াও দেশের অন্যান্য প্রান্তে মহাপঞ্চায়েত, র্যালি, মিছিলের মাধ্যমে চলছে ক্ষোভ প্রদর্শন। কৃষকদের আগাগােড়া শান্তিপুর্ণ আন্দোলন অশান্ত হয় ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর র্যালিতে। পুলিশকে আক্রমণ করেন র্যালিতে থাকা বিক্ষুব্ধরা। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের তম্ভে ওড়ানাে হয় শিখদের নিশান সাহিৰ্ব্বে পতাকা। যার জেরে তীব্র সমালােচনা হয় দেশজুড়ে।
মে মাসের শুরুতেই তারা সংসদ অভিযানে যাবেন বলে কৃষক আন্দোলনের শীর্ষ কৃষক নেতা গুরনাম সিং চাঁদুনি জানিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, মে মাসের প্রথমার্ধেই আমরা সংসদ অভিযান করব। যেহেতু এর সঙ্গে দিল্লির আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও জড়িয়ে রয়েছে। তাই সব দেখেশুনেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।
একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, সাধারণতন্ত্র দিবসের ঘটনা আমাদের শিক্ষা দিয়েছে। এবার তাই ট্রাক্টর নয়, পায়ে হেঁটে সংসদ পৌছব। শুধু কৃষকা নন, সঙ্গে থাকবেন, শ্রমিক, দলিত, আদিবাসী, মহিলা থেকে শুরু করে ছাত্র-যুব্রা। শুধু সংসদ অভিযানই নয়, এদিন আগামী দু’মাসের আরও কিছু খসরা কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে।
১০ এপ্রিল সকাল ১১ টা থেকে ২৪ ঘণ্টা অবরােধ করা হবে কেএমপি এক্সপ্রেসওয়ে। আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতিতর্পণ করা হবে ৬ মে। আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠন সর্বভারতীয় কিষাণ সভার নেতা হান্নান মােল্লা বলেন, দিল্লির সীমানায় আন্দোলন বলেই অনেকেই কৃষকদের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে খাটো করে দেখছেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে। এর প্রমাণ আগামী দু’মাসে দেশজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দেবে।