পাঞ্জাবে আপ-এর প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন বিরােধী দলনেতা সুখপাল সিং খাইরার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতি মামলার তদন্তে আপের জাতীয় সম্পাদক পঙ্কজ গুপ্তাকে সমন পাঠাল ইডি। প্রাক্তন বিরােধী দলনেতা সুখপাল সিং খাইরার বিরুদ্ধে অর্থ জালিয়াতির দুটো মামলা চলছে।
খাইরার বিরুদ্ধে চলতি বছরেই অর্থ জালিয়াতির অভিযােগে দুটো মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফাজিলকায় আন্তঃ সীমান্ত মাদক পাচার চক্র ফাস (২০১৫), জাল পাসপাের্ট তৈরি চক্র (দিল্লি) –এই দুই গুরুতর ইস্যুতে প্রাক্তন বিরােধী দলনেতা সুখপাল সিং খাইরার সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকার অভিযােগের পাশাপাশি অর্থ জালিয়াতির অভিযােগ উঠেছে।
ইডি তদন্তে নেমে খাইরার ও তার জামাই ইন্দ্রবীর সিং জোহালের বাড়িতে তল্লাশি চালানাের পাশাপাশি তাদেরকে কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে আপ নেতাকে এই মামলায় কেন ডেকে পাঠানাে হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ইডি সূত্রে জানানাে হয়েছে, খাইরার বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে নেমে কয়েকটি বিষয় প্রকাশ্যে এসেছে। ওই বিষয়গুলাের সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে আপের জাতীয় সম্পাদককে ডেকে পাঠানাে হয়েছে।
আপ নেতা রাঘব চাড়া টুইট করে লেখেন, “আম আদমি পার্টি ইডি’র পাঠানাে নােটিশ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করব। মােদি সরকারের সবথেকে প্রিয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এনফোর্সন্টে ডিরেক্টরেটের থেকে আম আদমি পার্টি প্রেমপত্র পেয়েছে। বিজেপি কিভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার খেলায় মেতে উঠেছে তা প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। আপের দুই নেতার সঙ্গে যােগাযােগ করা হলেও তারা কোনও জবাব দেননি।
২০১৭ সালে পাঞ্জাব নির্বাচনে খাইবার আপের টিকিটে জয়ী হয়েছিল। দু’বছর আগে খাইরা আপ থেকে ইস্তফা দিয়ে পাঞ্জাব একতা পার্টি গঠন করেছিলেন। জুন মাসে তিনি ফের কংগ্রেসে যােগ দিয়েছে। ফাজিলকা মাদক চক্র ফাঁস (২০১৫) হওয়ার পর জালালাবাদ পুলিশ ধৃতদের থেকে ১৮০০ গ্রাম হেরােইন, ২৪ টি সােনার বিস্কুট, ২ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৬ টি তাজা কার্তুজ, ২ টি পাক সিম কার্ড আটক করেছিল।
পুলিশ তদন্তে নামার দু’বছর পর এই খাইরার নাম প্রকাশ্যে আসে। ওই সময় তিনি আপ বিধায়ক ছিলেন। যদিও পাঞ্জাব পুলিশের চার্জশিটে খাইরার নাম ছিল না। ফাজিলকা কোর্ট তাকে সমন পাঠিয়েছিল।