কয়েক দিন আগেই পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন নভজ্যোং সিং সিধু। কিন্তু তারপর বেশিদিন কাটল না। সেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সিধু। অন্যদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে অমিত শাহ ও জেপি নাড়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন অমরেন্দ্র সিং। বিজেপি’র একটি সুত্র জানাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং দলের সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে ওই বৈঠকেই পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবলল চুড়ান্ত হতে পারে। পদত্যাগ পত্রে এদিন সিধু বলেন আমি পাঞ্জাব কংগ্রেসের ভাল চাই পাঞ্জাবের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি ছেলেখেলা করতে পারব না। তাই আমি সব ভেবেচিন্তে কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কংগ্রেসের জন্যই কাজ করে যাব।
সম্প্রতি পাঞ্জারে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিং। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন চরণজিৎ সিং চান্নি। পাঞ্জাবের কংগ্রেসের যে ডামাডােল চলছে তা বেশ কিছুদিন ধরেই প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে সাম্প্রতিকতম সংযােজন মঙ্গলবারের ঘটনা।
অমরেন্দ্রর মিডিয়া উপদেষ্টা বলি ঠুকরাল মঙ্গলবার বলেন, “অমরেন্দ্র এখন দিল্লিতে ব্যক্তিগত সফরে আছেন। সেখানে তিনি কিছু বন্ধুর সঙ্গে কথা বলবেন। এ বিষয়ে অযথা জল্পনার দরকার নেই।”
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ের রাজভবনে। গিয়ে রাজ্যপাল বানােয়ারিলাল পুরােহিতের কাছে ইস্তফা দেওয়ার পরেই বিকল্প পথের কথা বলে কংগ্রেস ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন পাঞ্জাব রাজনীতির ক্যাপ্টেন।
তার আগে কংগ্রেস সভানেত্রী সােনিয়া গান্ধিকে তিনি জানিয়েছিলেন, অপমান সহ্য করে তিনি আর দলে থাকতে চান না। আগামী বছর ফেব্রুয়ারী-মার্চে পাঞ্জাবে বিধানসভা ভােট হওয়ার কথা। শেষ পর্যন্ত অমরেন্দ্র দল ছাড়লে কংগ্রেস বড় ধাক্কা খেতে পারে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন।
আটের দশরে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে সেনা অভিযানের প্রতিবাদে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন পাতিলার রাজ পরিবারের সন্তান তথা প্রাক্তন সেনা অফিসার ক্যাপ্টেন অমরিন্দ্রর সিং। যােগ দিয়েছিলেন শিরােমণি অকালি দলে।
তবে কয়েক বছর পর ফের কংগ্রেসে ফিরেছিলেন তিনি এবার সিধুর সঙ্গে মতবিরােধের জেরে মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে অমরিন্দ্ররকে। তিনি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিতে যােগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছিল।