ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে। সদ্য শেষ হয়েছে গ্লোবাল সাউথ সামিটের ভার্চুয়াল কনভেনশন। তা নিয়ে ভারত, চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে শীতল সম্পর্ক নিয়ে কম জল্পনা হয়নি। এবার শুরু হচ্ছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলন। সেই সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই কিনা আমন্ত্রণ জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ! যা নিয়ে নতুন করে জল্পনা বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে।
প্রসঙ্গত এর আগে ‘ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট’-এর তৃতীয় ভার্চুয়াল ভাষণে সদস্য দেশগুলিকে চীনের ঋণের জাল থেকে মুক্ত করতে একাধিক পরিকল্পনার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই ভার্চুয়াল সামিটে হাজির ছিল না চীন ও পাকিস্তান। যা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে যথেষ্ট জল্পনার সৃষ্টি হয়েছিল। সূত্রের খবর, ভারতের আয়োজিত সেই ‘গ্লোবাল সাউথ’-এর সামিটে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানাতে আপত্তি জানান বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
কিন্তু এবার তারই উলটপুরাণ ঘটতে চলেছে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) শীর্ষ সম্মেলনে। ভারত ছাড়াও এসসিও-র সদস্য দেশগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, তাজাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান সহ আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র। যেহেতু এবারের এই শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানের ইসলামাবাদে আয়োজিত হচ্ছে, সেজন্য রীতি অনুযায়ী, মোদিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মেলন। তবে ইসলামাবাদের সেই বৈঠকে ভারত অংশগ্রহণ করবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে।
সূত্রের খবর, যেহেতু বিভিন্ন বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সংঘাত রয়েছে, সেজন্য এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যোগ না দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি রয়েছে। তার পরিবর্তে তিনি অন্য কোনও প্রতিনিধিকে সেখানে পাঠাতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কেন এই সম্মেলনে যোগ দেবেন না মোদি? জানা গিয়েছে, অতি সম্প্রতি ভারতের ওপর পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি হামলা, ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি। তাছাড়া চীনের সঙ্গেও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালো নেই। অথচ এসসিও-র অন্যতম সদস্য চীনের এই সম্মেলনে যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।