ভারতে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য বারবার পড়শি দেশ পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছে ভারত। পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠী যে ভারতের বুকে আক্রমণ শানাতে চাইছে তার ভুরি ভুরি প্রমাণ রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান কখনই জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা স্বীকার করেনি।
এই প্রচেষ্টাকে ফের একবার খোঁচা দিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বললেন, যাঁরা যারা জঙ্গিদের আঁতুড়ঘ, তারাই দুনিয়ার কাছে নিরীহ সাজার চেষ্টা করছে। দেখাচ্ছে যে তাদের বিরুদ্ধেই জঙ্গি কার্যকলাপ হচ্ছে। দুনিয়ার চোখে নিজেদের ভালো প্রমাণ করার চেষ্টা করছে তারা।
শুক্রবার এক আলোচনাসভায় এই মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বুঝিয়ে দেন একটা দেশ যারা জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে, সব রকম সুযোগসুবিধা দিয়ে অন্য দেশে নাশকতার জন্য পাঠাচ্ছে, আন্তর্জাতিক চাপের ফলে তারা নিজেদের ভালো প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। আবার কখনও জঙ্গিনেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা বলছে তারা।
গত সপ্তাহে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সে হাতে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার থেকে বাঁচার জন্য একটি স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডার জারি করে ৮০ জন জঙ্গি নেতার নাম জানায় পাকিস্তান। এই জঙ্গি নেতারা পাকিস্তানেই লুকিয়ে রয়েছে ও পাকিস্তান সরকার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে এমনটাই দাবি করা হয়। এই জঙ্গি নেতাদের মধ্যে দাউদ ইব্রাহিম, লস্কর প্রধান হাফিজ সঈদ, জইশ প্রধান মাসুদ আজহারের নাম রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের জন্য অস্ত্র হিসাবে যাত্রীবাহী বিমান ব্যবহারের কথাও তুলে ধরেন জয়শঙ্কর। কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতদিন ধরে কিছু দেশ জঙ্গিদের তৈরি করে বিভিন্ন দেশে নাশকতার জন্য পাঠিয়েছে। তারাই আজ সবার সামনে দেখাচ্ছে তারাই নাকি জঙ্গিবাদের শিকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহল বারবার এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে।
জঙ্গিদের সাহায্য করার জন্য পাকিস্তানের সামনে কালো তালিকাভুক্ত হওয়ার চাপ বাড়ছে। সে সময় কিছু জঙ্গির নাম করে তারা বোঝাতে চাইছে এতদিন ধরে জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের কোনও রকম সম্পর্ক ছিল না। এমনকী নিজেদের জমিতে কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করবে না বলেও হাস্যকর দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু সবই কাগজেকলমে।