৩৭০-এ ঐকমত্য পাকিস্তান এবং কংগ্রেস-কনফারেন্স জোট, বক্তব্য আসিফের

সংবিধানের ৩৭০ ধারাকে ফিরিয়ে আনার অবস্থানে পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফের সরকার এবং ভারতে জাতীয় কংগ্রেস-জাতীয় কনফারেন্স জোট ঐকমত্য, এমনটাই বক্তব্য পাকিস্তানের রক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফের। জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট চলাকালীন একটা সাক্ষাৎকারে আসিফ এই কথা বলেন।

২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পরে জম্মু ও কাশ্মীরে এই প্রথম বিধানসভা ভোট হচ্ছে। শেষবার উপত্যকায় বিধানসভা ভোট হয়েছিল এক দশক আগে, ২০১৪ সালে। এই ভোটে কংগ্রেস-জাতীয় কনফারেন্স জোটের জয়লাভ এবং ক্ষমতায় আসার প্রবল সম্ভাবনা বলেই মনে করছেন আসিফ। ৩৭০ ধারায় এই জোটের অবস্থানের উপর ভিত্তি করেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

‘ওরা এটাকে ভোটের অংশ করে তুলেছে। ৩৭০ ধারা পুনরায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে পাকিস্তান এবং কংগ্রেস-জাতীয় কনফারেন্স জোটের অবস্থান একই।’


২০১৯ সালের আগস্ট মাসে রাষ্ট্রপতির নির্দেশনামা জারি করে সংবিধান সংশোধন করে ৩৭০ ধারা রদ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এর ভিত্তিতে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুটো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দেওয়া হয় – বিধানসভা বিশিষ্ট জম্মু ও কাশ্মীর এবং বিধানসভাহীন লাদাখ। সেই সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘যথাযথ সময়ে’ জম্মু ও কাশ্মীরকে ফের রাজ্যস্তরে উন্নীত করা হবে। জম্মু ও কাশ্মীরে ভোট শুরু হওয়ার আগে দোদাতে একটা নির্বাচনী র‍্যালিতে তিনি একই কথা বলেন। ভোটের পরে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যত্ব ফিরিয়ে আনা হবে, এই মর্মে প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

অন্যদিকে, জাতীয় কনফারেন্স ৩৭০ ধারাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। কংগ্রেস ৩৭০ ধারা নিয়ে মুখ না খুললেও নিজেদের নির্বাচনী ইস্তেহারে জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ অঙ্গরাজ্যের মর্যাদা দিতে প্রতিশ্রুত।

৩৭০ ধারা উপত্যকার মানুষের কাছে একটা আবেগের বিষয়। ফলত, জাতীয় কনফারেন্স এবং পিডিপির নানা ইস্তেহারে বার বার উঠে এসেছে ৩৭০ ধারাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার প্রসঙ্গ।