মাত্র ৭ মিনিটেই ইউপিএসসি পার করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

দিল্লি, ১৯ জুন– এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্মলগ্ন থেকেই ভয়ে কাঁটা গোটা বিশ্ব৷ ২০২৪ সাল থেকেই জোর চর্চা এআই চাকরির বাজার শেষ করে দেবে৷ সত্যিই অর্ধেক বিশ্বকে বেকার করবে কিনা তা এখন বলা কঠিন হলেও বর্তমানে এআই যা করল তাতে ভয় অবশ্যই হওয়া উচিত৷ ২০২৪ সালের ইউপিএসসি প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় বসে, তাক লাগিয়ে দিয়েছে ভারতীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক ‘পঢ়াই’ অ্যাপ৷ চমকে দিয়েছে এর অবিশ্বাস্য গতি এবং নির্ভুলতার সঙ্গে উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা৷
ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষাকে ভারতের সবথেকে কঠিন চাকরির পরীক্ষাগুলির মধ্যে একটি বলা হয়৷ সাধারণত য় ২০০-র মধ্যে ১০০ পেলেই যোগ্যতা অর্জন করা যায়৷ সেখানে এই অ্যাপ ১৭০-এর বেশি নম্বর পেয়েছে৷ আর পুরো প্রশ্নপত্রটির সমাধান করতে সময় নিয়েছে মাত্র সাত মিনিট৷ পঢ়াই-এর সিইও কার্ত্তিকেয় মঙ্গলম জানিয়েছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে ইউপিএসসি পরীক্ষায় এত বেশি নম্বর কেউ পায়নি৷
ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সময় এতটুকু চিটিং করার উপায় ছিল না অ্যাপটির৷ নয়া দিল্লির ‘দ্য ললিত’ হোটেলে আয়োজন করা হয়েছিল এই পরীক্ষার৷ ইউপিএসসি-র সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গ এবং সংবাদমাধ্যমের কড়া নজরের সামনে সে পরীক্ষা দিয়েছে৷ অ্যাপ সংস্থাটির সিইও কার্ত্তিকেয় মঙ্গলম বলেছেন, “আমাদের ইভেন্টটি প্রথম হলেও, আমাদের মতে, কয়েক বছরের মধ্যে এই ধরনের ঘটনাগুলি অত্যন্ত সাধারণ হয়ে উঠবে৷ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এআই-এর মাধ্যমে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে প্রশ্নপত্রের সমাধান করার প্রতিযোগিতায় রয়েছে৷’
এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন আইআইটির কয়েকজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী৷ এটি হল একটি এআইভিত্তিক শিক্ষামূলক অ্যাপ৷ ইউপিএসসি এবং আইএএস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে বিপ্লব ঘটানোই এর লক্ষ্য৷ এটি মাল্টিপল চয়েস প্রশ্ন, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স আপডেট, কুইজ, ইউপিএসসি গেমস এবং একটি এআই চ্যাটবটের মাধ্যমে রিয়েল-টাইমে বিভিন্ন প্রশ্নের সমাধান করা এবং সহায়তা প্রদান করার মতো পরিষেবা দেয়৷ এছাড়া, সংক্ষেপে সংবাদ, আগের বছরগুলির প্রশ্নপত্র, বইয়ের সারাংশও পাওয়া যেতে পারে এই অ্যাপে৷