• facebook
  • twitter
Thursday, 26 December, 2024

বোতলবন্দি পানীয় জলকে ‘হাই রিস্ক ফুড ক্যাটাগরি’-র অন্তর্ভুক্ত করল ‘ফাসাই’

বোতলবন্দি পানীয় জলকে ‘হাই রিস্ক ফুড ক্যাটাগরি’-র অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় খাদ্যসুরক্ষা নিয়ামক সংস্থা

বোতলবন্দি পানীয় জলকে ‘হাই রিস্ক ফুড ক্যাটাগরি’-র অন্তর্ভুক্ত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় খাদ্যসুরক্ষা নিয়ামক সংস্থা ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া তথা ফাসাই। কারণ এই সমস্ত বোতলবন্দি জলে ব্যাকটেরিয়া কিংবা অজৈব রাসায়নিকের উপস্থিতি অনেক সময়েই মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার অভাবে কোনও ত্রুটিও ধরা পড়ে না বোতলের পানীয় জল বা প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটারে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তাদের মতে, এই সমস্ত বোতলবন্দি জলের জন্য আরও বেশি নজরদারি এবং গুণমান পরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। তাঁদের মতে, এই পণ্যের প্লান্টে নিয়মিত সারপ্রাইজ থার্ড–পার্টি ইনস্পেকশন হওয়াই নিয়ম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যকর্তাদের আশা, এতে পানীয় জল উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি জলের গুণমান নিয়ে আরও সতর্ক হবে।

বোতলজাত পানীয় জলের মধ্যে ধরা হয়েছে মিনারেল ওয়াটার এবং স্প্রিং ওয়াটারকেও। বিভিন্ন ভুঁইফোড় বোতলবন্দি জল উৎপাদনের প্লান্টে ছেয়ে গিয়েছে গোটা দেশ। অথচ খাদ্য নিয়ামক সংস্থার এককালীন শংসাপত্র ছাড়া কোনও এই সমস্ত প্লান্টে সরকারের তরফে কোনও নজরদারিই নেই। কিন্তু বোতলবন্দি জলকে এখন হাই রিস্ক ফুড ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত করে দেওয়ায় এর উপর কড়া নজরদারি থাকবে সরকারের। গত অক্টোবরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিল, দ্রুত প্যাকেজড ড্রিঙ্কিং ওয়াটার ইন্ডাস্ট্রিকে কেন্দ্রীয় মানক সংস্থা, ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যাডার্ডের শংসাপত্রের আওতায় আনা দরকার।

টক্সিকোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সোমনাথ দাস বলেন, ‘নতুন নিয়মে প্রাণিজাত খাদ্যপণ্যের মতো এবার ‘হাই রিস্ক ফুড ক্যাটাগরিতে বিবেচনা করা হবে বোতলবন্দি জলকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলে কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া জন্মাচ্ছে কি না, কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক সহনসীমার বেশি মাত্রায় মিশছে কি না এবং জলের মধ্যে থাকা খনিজ পদার্থগুলি যথাযথ পরিমাণ ও মাত্রায় রয়েছে কি না, সেসব দেখা খুবই জরুরি। এজন্য নিয়মিত পরিদর্শন ও নজরদারি প্রয়োজন। তা ছাড়া উৎপাদক সংস্থাগুলি সতর্ক হবে না। সে জন্যই সম্ভবত হাই রিস্ক ফুড ক্যাটাগরির আওতায় আনা হয়েছে বোতলবন্দি পানীয় জলকে।’