হাওড়ার জগৎবল্লভপুরে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে একাধিক হনুমানের মৃত্যুতে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সকাল হলেই এলাকার মানুষ ধানের জমিতে হনুমানের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখছেন। কিন্তু সেই দেহগুলিতে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে হনুমানগুলির মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরিয়ে এসেছে । অনুমান করা হচ্ছে, বিষ খাইয়ে হনুমানগুলিকে হত্যা করা হয়েছে। গত ১০ দিনে সেখানে একের পর এক হনুমানের মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন দপ্তর। একের পর এক হনুমানের মৃত্যুতে উদ্বেগ ছড়িয়েছে এলাকায়।
স্থানীয়সূত্রে খবর, সম্প্রতি জগৎবল্লভপুরের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের বাটন দাসপাড়া গ্রামে হনুমানের তাণ্ডব চালানোর ঘটনা ঘটে আসছিল। হনুমানের আক্রমণে কয়েকজন গ্রামবাসী জখমও হয়েছিলেন। এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে খাবারের সঙ্গে হনুমানগুলিকে বিষ মিশিয়ে খাওয়ানো হতে পারে। যদিও গ্রামের মানুষের একাংশের বক্তব্য, এখন মাঠের ফসল ফলাতে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক ছড়ানো হয়। তার থেকেও বিষক্রিয়ায় হনুমানের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
হনুমানগুলির দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতার বেলগাছিয়া ও হাওড়ার আমতায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বনকর্তারা। তবে মৃত হনুমানগুলির মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখে প্রাথমিকভাবে বনকর্মীদেরও অনুমান, বিষক্রিয়ার জেরেই মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড়ের জাতীয় অরণ্যে একের পর এক হাতির মৃত্যু হয়। হাতির মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০-এ। তদন্তে জানা যায়, বিষক্রিয়ার জেরেই ১০টি হাতির মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত কীটনাশক দেওয়া ফসল খাওয়ার ফলেই বিষক্রিয়ায় হাতিগুলির মৃত্যু হয়।