• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আমাদের সম্পর্ক বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের, ব্রাজিলে জিনপিং-কে বললেন মােদি

ব্রাজিলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ১১তম ব্রিকস্ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক হয় মােদি-জিনপিঙের।

নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং। (File Photo: IANS/MEA)

ব্রাজিলে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ও চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দু’দেশই বাণিজ্যিক ক্ষেত্র সম্পর্ক আরও মজবুত করায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। ১১তম ব্রিকস্ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার বৈঠক হয় মােদি-জিনপিঙের। বৈঠকের পর নমাে বলেছেন, চেন্নাইয়ে দু’দেশের মধ্যে দ্বিতীয় ইনফরমাল বৈঠকের পর দু’দেশের সম্পর্ক নয়া দিশা পেয়েছে।

একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছে, ‘ব্রাজিলে ব্রিকসের সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের মধ্যে বৈঠক ফলপ্রসু হয়েছে। দু’দেশের নেতার আলােচনার মূল বিষয় ছিল ‘ বাণিজ্য ও বিনিয়ােগ’।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত ও চিনের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে আলােচনা হয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে যে দু’দেশের ঘনিষ্ঠতা প্রয়োজন, তা স্বীকার করে নেন দুই নেতাই।

নমাে জিনপিং’কে বলেছেন, ‘আপনার সঙ্গে আবার দেখা হওয়ায় আমি আনন্দিত। পিছন ফিরে তাকালে দেখি এই ব্রাজিলেই আমাদের প্রথম বৈঠক হয়েছিল। তারপর থেকে সেই যাত্রা শুরু হয়েছে। দুই অচেনা মানুষের সফর এখন ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হয়েছে। তারপর থেকে বহু ফোরাম ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক আমাদের মধ্যে হয়েছে। আপনি আমার দেশে এসেছেন। আপনার গ্রামে আমায় নিয়ে গিয়েছেন। ইউহানে আমাকে স্বাগত জানাতে এসেছিলেন। এই পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের মধ্যে একটা বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে’।

একাদশতম ব্রিকস সম্মেলনে যােগ দিতে বর্তমানে ব্রাজিল সফরে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেদেশে গিয়ে প্রেসিডেন্ট জাইর বােলসােনারাের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করেন তিনি।

আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্টকে ভারতে আসার আমন্ত্রণও জানান প্রধানমন্ত্রী। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সেই আমন্ত্রণ সানন্দে গ্রহণ করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বােলসােনারাে। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে দেখা যাবে তাঁকেই।

একাদশতম ব্রিকস সম্মেলনে ভারতের পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হচ্ছে সন্ত্রাসবিরােধী সহযােগিতার জন্য কৌশল নির্ধারণ এবং বিশ্বের পাঁচটি প্রধান অর্থনীতির দেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও জোরদার করার দিকে। তারই পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট জাইর বােলসােনারাের সঙ্গে এক ফাঁকে বৈঠকও সেরে নেন প্রধানমন্ত্রী মােদি।