শাসক-বিরােধীদের মধ্যে হাজার মতবিরােধের মধ্যে উপত্যকাবাসীদের জন্য সংরক্ষণে সায় দিল বিরােধীরা। সেই সঙ্গে একমত হল জম্মু ও কাশ্মীরের রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও ৬ মাস বৃদ্ধিতে।
‘জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশােধনী) বিল, ২০১৯’ রাজ্যসভায় পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। লােকসভায় এই বিল আগেই পাশ হয়ে গেছিল। সােমবার রাজ্যসভায় এই বিল পাশ হল নির্বিঘ্নে।
আজ সংসদের উচ্চকক্ষে অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও ৬ মাস বৃদ্ধি নিয়ে অন্য একটি বিল পেশ করেন। উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সায় দিয়েছেন পিডিপি, টিএমসি, এবং সমাজবাদী পার্টি।
জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলাকায় বাসিন্দারা ৩ শতাংশ সংরক্ষণ পান। সীমান্ত থেকে ১০ কিলােমিটারের মধ্যে যারা বাস করেন তাদের সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় ৩ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
লােকসভা নির্বাচনে বিজেপির এজেন্ডায় বলা হয়েছিল ক্ষমতায় এলে এই সংরক্ষণের সুবিধা আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারাও পাবেন। সােমবার রাজ্যসভায় সেই বিলটি পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
আগেই লােকসভায় বিলটি পাশ হয়ে গেছিল। কেন্দ্রে সরকারের দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখার মতাে উপত্যকায় আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগােয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও অনিশ্চয়তা নিয়ে বেঁচে থাকেন। সীমান্তের ওপার থেকে উড়ে আসে পাকিস্তানের গােলা। তাই আন্তর্জাতিক সীমান্ত লাগােয়া বাসিন্দাদেরও সংরক্ষণ পাওয়া উচিত।
রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিল পেশ করার পর তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন বলেন, দেশবাসীর কল্যাণের কথা ভেবে এই বিলকে সমর্থন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সঙ্গে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সায় দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জম্মু ও কাশ্মীরের রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মঙ্গলবার। এখনই বিধানসভার ভােটে না গিয়ে কেন্দ্র সরকার আরও ৬ মাস শাসনকালের মেয়াদ বাড়ানাের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছে পিডিপি।
এর আগে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে বিরােধিতা করলেও পরে দলের তরফ থেকে সাংসদ নজির আহমেদ জানান, ‘আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর উপর আস্থা রাখছি’।
অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রাম গােপাল যাদব উপত্যকায় রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ বৃদ্ধিতে সম্মতি দিয়েছেন।