• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাহুল গান্ধি সহ বিরোধী নেতাদের শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরানো হল

কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধি ও এগারাে অন্য বিরােধী দলের নেতাকে শনিবার শ্রীনগর বিমান বন্দর থেকে ফেরত পাঠানাে হয়েছে।

রাহুল গান্ধি (File Photo: IANS)

কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ রাহুল গান্ধি ও এগারাে অন্য বিরােধী দলের নেতাকে শনিবার শ্রীনগর বিমান বন্দর থেকে ফেরত পাঠানাে হয়েছে। চলতি মাসে উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা খারিজ ও রাজ্যকে দুইভাগে বিভক্ত করার পর নিরপত্তার কারণে সেখানে রাজনৈতিক কার্যকলাপের ওপর বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে।

জম্মু-কাশ্মীর তথ্য এবং জনসংযােগ বিভাগের পক্ষে টুইট করে জানানাে হয়েছে, রাজনৈতিক নেতাদের এলাকা পরিদর্শনের জন্য উপত্যকায় ঢােকার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরােপ করা হয়েছে, কারণ এতে এলাকার মানুষের অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। কারণ এসময় সরকার সীমান্ত পেরিয়ে জঙ্গি হানার আশঙ্কা করছে এবং তাদের নিরাপত্তা রক্ষা জরুরি।

এদিন কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে দলের নেতারা শ্রীনগর বিমান বন্দরে নামেন। এদের মধ্যে রাহুল গান্ধি ছাড়া কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, সীতারাম ইয়েচুরি, ডি রাজা, তিরুচি সিবা, মনােজ ঝা এবং দীনেশ ত্রিবেদী প্রমুখ নেতা ছিলেন।

উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই উপত্যকায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি সহ চারশাে রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের অবস্থা স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না বলে জানানাে হয়েছে।

তবে ইতিমধ্যেই অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় বহু এলাকায় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিরপত্তা বাহিনীর টহলদারি বজায় থাকা সত্ত্বেও সাধারণ মানুষের তাদের ইচ্ছা মতাে গমনাগমনের ক্ষেত্রে কোনও বাধা দেওয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ব্যারিকেডও তুলে নিয়েছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা মানুষের পরিচিতি পত্র যাচাই করে তবেই তাদের চলাফেরা করতে দিচ্ছে।

এদিন পর্যন্ত কোনও উপত্যকায় শান্তির বাতাবরণ রয়েছে, কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। শনিবার উপত্যকায় বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ যানের চলাচলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সাধারণ যাত্রী পরিবহণ যান চলাচল শুরু হয়নি বলে সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন। তবে বিশ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পরও উপত্যকায় বাজার দোকানপাট এখনও খােলেনি। কয়েকটি এলাকায় ল্যান্ডলাইন পরিষেবা চালু করা হলেও, এখনও পর্যন্ত মােবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।