কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি বলেন যে, একজন রাজনৈতিক নেতা একসময় তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। গড়কড়ি বলেছিলেন, তিনি এই ধরণের ভাবনা লালন-পালন করেন না। গড়কড়ি বলেন,’আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে– আমি তাঁর নাম নিতে চায় না– সেই ব্যক্তি আমাকে বলেছিলেন, আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী হতে চান, তাহলে আমরা আপনাকে সমর্থন দেব।’ শনিবার সাংবাদিকতা সংক্রান্ত একটি পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে গড়কড়ি এই বিস্ফোরক কথাটি প্রকাশ্যে আনেন। তবে সেই কথোপকথন কখন হয়েছিল, সেই সময় তিনি উল্লেখ করেননি।
বর্ষীয়ান এই বিজেপি নেতা আরও বলেন,’কিন্তু আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কেন আপনারা আমাকে সমর্থন দেবেন? একজন প্রধানমন্ত্রী হওয়া আমার জীবনের লক্ষ্য নয়। আমি আমার আদর্শ এবং সংগঠনের প্রতি অনুগত। এবং আমি কোনও পদের জন্য লালায়িত নই। কারণ আমার মতাদর্শ সব কিছুর উর্দ্ধে।’
এদিন এই অনুষ্ঠানে নীতিন গড়কড়ি রাজনীতি এবং সাংবাদিকতার নৈতিক আদর্শের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি সিপিআই-এর একজন বর্ষীয়ান কমিউনিস্ট নেতা এ বি বর্ধনের কথা স্মরণ করে বলেন, বর্ধন নাগপুর ও বিদর্ভের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের বিরোধীতা করলে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করলেও গাদকারী বলেছিলেন, সৎ বিরোধীদের সম্মান করা উচিত।
গড়কড়ি বলেন,’আমি বলেছিলাম যিনি সততার সঙ্গে বিরোধিতা করেন, এমন ব্যক্তিকে সম্মান করা উচিত। কারণ তাঁর বিরোধিতায় সততা রয়েছে। কিন্তু যিনি অসততার সঙ্গে বিরোধিতা করেন, তিনি সম্মান পাওয়ার যোগ্য নন।’
তিনি আরও বলেন, কমরেড বর্ধন তাঁর আদর্শের প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতায় এখন এমন লোকের অভাব নেই। গণতন্ত্র তখনই সফল হবে, যখন চারটি স্তম্ভ – বিচার বিভাগ, নির্বাহী, আইনসভা এবং সংবাদ মাধ্যম – নৈতিকতা অনুসরণ করবে।