দিল্লি, ১৬ মার্চ– শনিবার বিকেল ৩টেয় লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা ঠিক আগেই শুক্রবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ জনগণের উদ্দেশ্যে লেখা এই চিঠিতে মোদি তাঁর গত ১০ বছরের উন্নয়নের নানা দিক তুলে ধরেছেন৷ উন্নয়নের বর্ণনার পাশপাশি আগামী দিনেও জগনণের সমর্থনের আর্জি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
তবে মোদির এই চিঠিকে বিজেপির প্রচার কৌশল বলেই মনে করা হচ্ছে৷ নির্বাচনের দিন ঘোষণার ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি সরকারিভাবে নির্বাচনী প্রচার হিসেবে দেখছে বিরোধীরা৷ নিয়ম অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যায় আদর্শ আচরণবিধি৷ এরপর থেকে সরকারিভাবে কোনও রকম প্রচার আইন বিরুদ্ধ৷ তাই পরিকল্পিত ভাবে ভোট ঘোষণার আগেই খোলা চিঠির মাধ্যমে ভোটের প্রচার সারছেন প্রধানমন্ত্রী, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের৷
এ প্রসঙ্গে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেছেন কেন্দ্রের নানা জগহীতকর যোজনাগুলিকে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো প্রকল্পগুলির কথা লেখা আছে চিঠিতে৷ এছাড়াও চিঠিতে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর মনোভাব, মহিলা সংরক্ষণ, নয়া সংসদ ভবন তৈরির বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে মোদি সরকারের তরফে৷ ‘বিকশিত ভারতের’ লক্ষ্যে দেশবাসীর সমর্থন চেয়ে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এক দশক পূর্ণ করতে চলেছে৷ ১৪০ কোটির পরিবারের সঙ্গে বিশ্বাস, সহযোগিতার এই সম্পর্ক আমার জন্য কতখানি তা ভাষায় ব্যক্ত করা কঠিন৷ সাধারণ মানুষের জীবনে গত ১০ বছরে যে সদর্থক পরিবর্তন ঘটেছে তা আমাদের সরকারের কৃতিত্ব৷ আমাদের একের পর এক সদর্থক নীতি গরিব, কৃষক, যুবক ও মহিলাদের জীবনে পরিবর্তন এনেছে৷’
এই চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, দেশের অগ্রগতির লক্ষ্যে এই সব বড় সিদ্ধান্ত নিতে কখনও পিছু পা হয়নি তাঁর সরকার৷ প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আপনাদের বিশ্বাস এবং সমর্থন পেয়েছি বলেই আমরা ‘জিএসটি’ চালু করতে পেরেছি৷ ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি সম্ভব হয়েছে৷ সন্ত্রাসবাদ এবং মাওবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে৷ আপনাদের বিশ্বাস ও সমর্থন ছিল বলেই গত ১০ বছরে এমন ঐতিহাসিক ও বড় পদক্ষেপ করতে আমরা সফল হয়েছি৷’
প্রসঙ্গত, সরকারি খরচের অপব্যয় করে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দিয়ে কেন্দ্র মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, এমন অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিল তৃণমূল৷