চন্ডিগড়, ১৩ অগাস্ট– সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের টাকা বাঁচাতে এবার আম আদমি পার্টি এক বড় সিদ্ধান্ত নিল। পাঞ্জাবে চালু হল ‘ওয়ান এমএলএ-ওয়ান পেনশন’। মুখ্যমন্ত্রী ভগবৎ সিং মান টুইট করে বলেছেন, আমি পাঞ্জাবের মানুষকে এটা জানাতে পেরে খুশি যে যে আমাদের রাজ্যপাল ‘ওয়ান এমএলএ-ওয়ান পেনশন’-এর গেজেট বিজ্ঞপ্তি অনুমোদন করেছেন। এরফলে মানুষের ট্যাক্সের টাকা অনেকটাই বাঁচাবে।
বিধায়কদের পেনশনে বড় কোপ যে পড়তে চলেছে তা গত জুলাইয়ে প্রথম ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মান। রাজ্যবাসীর উদ্দেশে আড়াই মিনিটের ভিডিও বার্তায় নতুন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান এমএলএ-ওয়ান পেনশন’ ব্যবস্থা চালু হলে পাঁচ বছরে ৮০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে সরকারের। ওই টাকা সামাজিক কল্যাণ প্রকল্পে ব্যয় করা হবে।
মান ভিডিও বার্তায় বলেন, প্রচারে যে নেতারা জনসেবার কথা বলেন তারাই মাস শেষে সরকারের কাছ থেকে মোটা টাকা পেনশন পান। তিনি তাই ওয়ান এমএলএ ওয়ান পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে চান। অর্থাৎ একজন যতবারই বিধায়ক হোন না কেন, পেনশন পাবেন একটি টার্মের জন্যই।
নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে অবশ্য এই ব্যাপারে দিশা দেন এক প্রবীণ প্রাক্তনী। পাঞ্জাবের চারবারের মুখ্যমন্ত্রী অকালি দলের প্রবীণ নেতা প্রকাশ সিং বাদল আপ সরকার ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্য সরকারকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, প্রাক্তন বিধায়ক, মন্ত্রী হিসাবে তিনি কোনও পেনশন চান না।
মান জানান, পাঞ্জাবে প্রাক্তন বিধায়কেরা প্রতিটি টার্মের জন্য পৃথক পেনশন পেতেন। এখন একটি টার্মের জন্য বিধায়ক পেনশন ৮০ হাজার টাকা। কেউ পাঁচবার বিধায়ক হয়ে থাকলে তিনি মাসে চার লাখ টাকা পেনশন পান। বস্তুত অনেক প্রাক্তন বিধায়ক এর থেকে বেশি অর্থ পেনশন বাবদ পান প্রতি মাসে। তাঁদের কেউ আবার প্রাক্তন সাংসদ হিসাবেও পৃথক পেনশন পেয়ে থাকেন। বলাইবাহুল্য এই প্রাক্তন বিধায়কদের বেশিরভাগই কংগ্রেস ও অকালি দলের।
গত মার্চে বিধানসভা ভোটের সময় আম আদমি পার্টি সরকারি অর্থ খরচে নতুন পথে চলার কথা ঘোষণা করেছিল। পাঞ্জাব সরকার আর্থিকভাবে খুবই দূর্বল। বাজারে বিপুল টাকা দেনা। তা সত্বেও আপ সহ সব দলই নগদ অর্থ বিলোনোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ভোটের লড়াইয়ে।
পাঞ্জাবের ভগ