• facebook
  • twitter
Friday, 20 September, 2024

১৯ মে দেশে ঢুকতে চলেছে বর্ষা!

নিজস্ব প্রতিনিধি— ক্ষণিকের অতিথি তীব্র তাপপ্রবাহ! আর বেশি দিন সহ্য করতে হবে না-দহনজ্বালা৷ ১৯ মে দেশে ঢুকতে চলেছে বর্ষা৷ এবার লা নিনার প্রভাবে ভাসতে পারে একাধিক রাজ্য! এমনই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ ওদিকে এ রাজ্যে কবে বর্ষা ঢুকবে? তার প্রহর গুণতে শুরু করেছে রাজ্যবাসী৷ অবশ্য বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকছে, তার নির্দিষ্ট দিন এখনও বলা হয়নি৷ আবহবিদরা

নিজস্ব প্রতিনিধি— ক্ষণিকের অতিথি তীব্র তাপপ্রবাহ! আর বেশি দিন সহ্য করতে হবে না-দহনজ্বালা৷ ১৯ মে দেশে ঢুকতে চলেছে বর্ষা৷ এবার লা নিনার প্রভাবে ভাসতে পারে একাধিক রাজ্য! এমনই আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা৷ ওদিকে এ রাজ্যে কবে বর্ষা ঢুকবে? তার প্রহর গুণতে শুরু করেছে রাজ্যবাসী৷ অবশ্য বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকছে, তার নির্দিষ্ট দিন এখনও বলা হয়নি৷

আবহবিদরা মনে করছেন, বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে বর্ষা আসার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল হয়ে উঠেছে৷ আশা করা হচ্ছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু ১৯ মে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করবে৷ সেক্ষেত্রে ২৯ মে নাগাদ ভারতের মূল ভূখণ্ডে ঢুকবে বর্ষা৷

এর পর এটি ১ জুনের মধ্যে কেরলে পৌঁছাবে৷ এরপর ১৫ জুন, এটি গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগড়, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে পৌঁছতে পারে৷ অবশ্য বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকছে, তার নির্দিষ্ট দিন এখনও বলা হয়নি৷ অবশ্য মনে করা হচ্ছে, যেহেতু এবার দেশে খুব তাড়াতাডি় বর্ষা ঢুকছে৷ সেজন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই এ রাজ্যও স্বস্তির বর্ষা প্রবেশ করবে৷

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হতে চলেছে বর্ষার বৃষ্টি৷ আবহাওয়া দফতর মনে করছে, চলতি বছরে বর্ষায় গড় বৃষ্টিপাত হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে লা নিনার প্রভাবেই বেশি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ পাশাপাশি আবহাওয়া দফতর আরও জানাচ্ছে, ১৯ মে স্বাভাবিক সময়ের আগেই আন্দামান-নিকোবার দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে৷

আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনওএএ) অনুযায়ী, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরে দেখা যাবে লা নিনার প্রভাব৷ ফলে, জুন মাস থেকে বৃষ্টির দাপট বাড়বে বর্ষায়৷ এমনকী, অতিরিক্ত বৃষ্টির জন্য একাধিক রাজ্যে বন্যার পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে৷ এনওএএ-র মতে, জুন থেকেই ভারতে লা নিনার প্রভাব দেখা যাবে৷ জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত এর প্রভাব বাড়বে ৪৯ শতাংশ৷ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত লা নিনা ৬৯ শতাংশ বাড়তে পারে৷
এই লা নিনা কাকে বলা হচ্ছে?

আবহাওয়া দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপরিভাগে বায়ুর চাপ কম থাকলে, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ যাকে লা নিনা বলা হয়৷ যখন এমন পরিস্থিতি দেখা দেয়, তখন সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়৷ সেক্ষেত্রে এই লা নিনা গোটা বিশ্বের তাপমাত্রাকে প্রভাবিত করে৷ ভারতে লা নিনার প্রভাব দেখা যায় এ বছর জুন থেকেই৷ লা নিনার জন্য গডে়র চেয়ে বেশি বৃষ্টি এবং বেশি ঠান্ডাভাব হওয়ার সম্ভাবনাও বেডে় যায়৷ ৯ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে লা নিনার প্রভাব৷

প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হয়েছিল তীব্র তাপপ্রবাহ৷ কোনওদিন ৪০ ডিগ্রি কোনওদিন ৪১ তো কোনওদিন ৪২৷ চাঁদিফাটা গরমে কাহিল অবস্থা হয়েছিল সাধারণ মানুষের৷ রাজ্যের কোনও কোনও জেলায় তো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩-৪৪ ডিগ্রির ঘরে ঠেকেছিল৷ তাপমাত্রার পারদ কিছুতেই নামছিলই না৷ সেক্ষেত্রে গ্রীস্মের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে এবারের তাপমাত্রার পারদ৷ অবশ্য কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টিতে বেশ কয়েকদিন সাময়িক স্বস্তিও মিলেছিল৷ তারপরেই গত দু’দিন ধরে চড়চড় করে তাপমাত্রার পারদ বাড়তে শুরু করেছে৷