ওমিক্রন: ১৪টি রাজ্যকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন্দ্রের

দেশের মোট ১৪টি শহরে আচমকা বেড়েছে কেভিড সংক্রমণ। এই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট ১৪টি রাজ্যকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলল কেন্দ্রীয় সরকার। বড় শহরগুলিতে কোভিডের অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের পাশাপাশি দ্রুত ছড়াচ্ছে ওমিক্রন।

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে বলেছে, অতি মহামারীতে মৃত্যু ঠেকাতে এখনই ব্যব নিতে হবে। গত কয়েক দিনে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে দিল্লিতে। এছাড়া গুরগাঁও, চেন্নাই, কলকাতা এবং আমেদাবাদেও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে সংক্রমণ।

বুধবার মুম্বইতে কোভিডে সংক্রমিত হয়েছেন ২৫০১ জন। আগের তুলনায় বাণিজ্যনগরীতে ৮২ শতাংশ বেড়েছে সংক্রমণ। বুধবার দিল্লিতে সংক্রমিত হয়েছেন ৯২৩ জন।


সেখানে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টেরও সংক্রমণ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বেঙ্গালুরু ও আমেদাবাদে দ্রুত বাড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ।

দিল্লির কাছে অবস্থিত গুরগাঁওতে গত ১৫ থেকে ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৯৪ জন কিন্তু ২২ থেকে ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সেখানে আক্রান্ত হন ৭৩৮ জন। ওই সময় চেন্নাইতে আক্রান্তের সংখ্যা ১০৩৯ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ১৭২০।

কলকাতায় ১৪৯৪ থেকে বেড়ে হয় ২৬৩৬। বেঙ্গালুরুতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ১৪৪৫ থেকে ১৯০২ চলতি সপ্তাহের শুরুতে দিল্লিতে জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।

কোভিড ঠেকাতে ‘ফোর গ্রেডেড রেসপন্স প্ল্যান’ (গ্রাপ) কার্যকর করেছে কেজরিওয়াল সরকার। কোভিডের সম্ভাব্য থার্ড ওয়েভ ঠেকানোর জন্য গত জুলাই মাসে দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি ওই পরিকল্পনা তৈরি করে।

ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, অতি মহামারীর দ্বিতীয় ওয়েভ থেমে যাওয়ার পরে কিছু চালু করা হয়েছিল, সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। সেই অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

বেসরকারি অফিস খোলা থাকছে সকাল ন’টা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত। সেখানে মোট কর্মী সংখ্যার ৫০ শতাংশ উপস্থিত হচ্ছেন। যেসব দোকানে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিক্রি হয় না, সেগুলি খোলা হবে জোড়-বিজোড় সংখ্যা অনুযায়ী।