ওমিক্রন প্রজাতির করোনা ভাইরাস যেহেতু ডেল্টা প্রজাতির থেকে তিনগুণ বেশি সংক্রামক ফলে তা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। ওমিক্রণ আক্রান্তদের জন্য ‘ওয়ার রুম’ ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে–কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলোকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওমিক্রন প্রজাতির করোনা সংক্রমণের এখনও দেশে ডেল্টা প্রজাতির করোনা ভাইরাস রয়েছে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলোকে একগুচ্ছ সুরক্ষা বিধি ও কনটেইনমেন্ট সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো নির্দেশিকাগুলোর মধ্যে করোনা পরীক্ষা বৃদ্ধি, নাইট কার্ফু, জমায়েত-ভিড় নিয়ন্ত্রণ বিধি উল্লেখ্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যগুলোর স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট রাজ্য কর্তৃপক্ষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকাকে ‘প্রান্তিক সীমা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্দেশিকা পৌছনোর আগে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলো কনটেনমেন্ট ভিড় নিয়ন্ত্রণের মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে কোনও সমস্যা নেই।
কেন্দ্রের তরফে করোনা পরীক্ষা ও নজরদাবি প্রক্রিয়া চালানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে করোনা উপসর্গে কেউ ভুগছেন কিনা তা খোঁজ নেওয়ার পাশাপাশি কোভিড পজিটিভ ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
ক্লাস্টার সংক্রামিতের নমুনা শীঘ্রই জেনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য INSA COG ল্যাবে পাঠাতে হবে। রাজ্যগুলোকে একশ শতাংশ ভ্যাকসিন কভারেজ সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মেডিকেল পরিকাঠামোর উন্নয়নে অর্থাৎ হাসপাতালে বেড, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সামগ্রী, ওষুধের ব্যবস্থা করতে জরুরি তহবিল ব্যবহার করতে হবে। ভারতে এই মুহুর্তে ওমিক্রণ সংক্রামিতের সংখ্যা ২০০ পেরিয়ে গেছে। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রে সবথেকে বেশি ওমিক্রন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে।