জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাকে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বিলোপের পর ওমর আবদুল্লা সহ প্রায় শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়। পরে এদের বিরুদ্ধে পিএসএ আইন জারি করা হয়।
ওমর আবদুল্লা প্রায় আট মাস বন্দি থাকার পর এদিন ছাড়া পেলেন। এর আগে ওমরের পিতা সাংসদ ফারুক আবদুল্লাকে ১৩ মার্চ মুক্তি দেওয়া হয়।
২৩২ দিন বন্দি থাকার পর ওমর আবদুল্লা হরি নিবাস অতিথি ভবন থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁর অনুগামীরা ওমরকে ঘিরে ধরে। ওমরের গালে দীর্ঘদিনের না কামানো দাড়ি দেখা যায়। তিনি নাকি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যতদিন না মুক্তি পাচ্ছেন ততদিন দাড়ি কাটবেন না।
করোনাভাইরাসের কারণে অনুগামীদের সকলকেই মাস্কপরে থাকতে দেখা যায়। ওমর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে করোনাভাইরাস নিয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপরই তিনি আটক অন্যান্যদের মুক্তির দাবি জানান।
তিনি জানান, এখন আমাদের সরকারের সঙ্গে একযোগে মারণ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখতে হবে। চিকিৎসক হিসেবে কিছু পরামর্শও ট্যুইট করেন মানুষের জন্য। তিনি বলেন বন্দিদশা থেকে মুক্তির পর তিনি তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে একসঙ্গে ভোজনে অংশ নিতে পেরে সত্যিই খুশি হয়েছি।
পিতা-মাতার সঙ্গে এদিনের ভোজনে অংশ নেওয়াই আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন ওমর। টুইটে জানান, আমি কি খেয়েছি জানি না, কিন্তু তার স্বাদ ছিল স্বর্গীয়।
অন্য এক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এখনও বন্দি রয়েছেন। তিনি টুইট করেছেন, সরকার সম্ভবত নারী শক্তিকেই বেশি ভয় পায়। তিনি ওমরের মুক্তিতে খুশি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ওমরের ভগ্নি গত সপ্তাহে তাঁর মুক্তির জন্য সুপ্রিম কোর্ট আবেদন জানান। কোর্টের পক্ষে কেন্দ্রকে অবিলম্বে মতামত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। কেন্দ্র আদালতের নোটিশ পাওয়ার পরই এক সপ্তাহের মধ্যেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ আদালতের পক্ষে জানানো হয়, অবিলম্বে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে না ছাড়লে তাঁর মুক্তির জন্য যে আবেদন জানানো হয়েছে তার শুনানি শুরু করা হবে। কাশ্মীরের অবস্থা স্থিতিশীল বলে কেন্দ্র জানায় এবং ওমর আবদুল্লাকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে আর তাদের কোনও আপত্তি নেই বলে জানানো হয়।