সিএএ বিরােধী আন্দোলনকারী ও পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে উত্তেজনা ছড়াল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে কয়েকজন পাথর ছােড়ার ফলেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অভিযােগ, এরপরই ক্ষেপে গিয়ে পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। খণ্ডযুদ্ধে জখম হন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও।
আলিগড়ের উপারকোট কোতােয়ালি এলাকায় ২ কিমি জায়গা জুড়ে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পাঠানাে হয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। আবহাওয়াজনিত কারণে বিক্ষোভকারীদের তাঁবু খাটানাের অনুমতি না দেওয়াতেই বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালায় বলে অভিযােগ। শুক্রবার আলিগড়ে বৃষ্টি হয়েছিল। এরপরই সিএএ বিরােধী বিক্ষোভকারীরা ওই এলাকায় তাঁবু খাটানাের জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চান। কিন্তু সেই অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
অপরদিকে, দিল্লির জাফরাবাদে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে চলা বিক্ষোভে ছড়ায় উত্তেজনা। মৌজপুর এলাকায় পাথর ঘেঁড়ার ঘটনায় বাধে খণ্ডযুদ্ধ। ওই এলাকাতেই চলছে সিএএ বিরােধী বিক্ষোভ। দু’পক্ষের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ থামাতে কাঁদানে গ্যাস ছেড়ে পুলিশ।
জাফরাবাদ সংলগ্ন গােটা এলাকায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনাস্থলে যান অন্যান্য এলাকার ডিসিপিরা। মৌজপুরে পাঠানাে হয় অতিরিক্ত আধা সামরিক বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, সিএএ-এর পক্ষে ও বিপক্ষে বিক্ষোভ চলাকালীন খণ্ডযুদ্ধে জড়ায় দু’পক্ষ। তখনই একে-অপরকে লক্ষ করে ইটবৃষ্টি করা হয়।
শাহিন বাগের ধাঁচে শনিবার রাত থেকে সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয় জাফরাবাদে। মেট্রো স্টেশনের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন দু’শােরও বেশি মহিলা প্রতিবাদকারী। তাঁদের অধিকাংশের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। সঙ্গে চলেছে ‘আজাদি’র স্লোগান।
রবিবার সকালে পরিস্থিতি জটিল হওয়ার ফলে জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিকেল তিনটে নাগাদ বিজেপি’র বিতর্কিত নেতা কপিল মিশ্রর নেতৃত্বে এক দলকর্মী জাফরবাদ মেট্রো স্টেশনে গিয়ে রাস্তা খালি করে দেওয়ার দাবি জানান। এর থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। বিকেল চারটে নাগাদ শুরু হয় পাথর ছােড়াছুড়ি। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশও পিছু হঠতে বাধ্য হয়।