উত্তরাখণ্ডে বাড়ি ফেরার পথে নার্সকে ধর্ষণ ও খুন

Concept of a violence against women. Black and white portrait of scared and desperate woman, focus on the hands in protective gesture

আরজিকর কাণ্ডের ছায়া এবার উত্তরাখণ্ডে। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে নার্সকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ঘটল উধম সিং নগর জেলার রুদ্রপুর গ্রামে। ঘটনার প্রায় দুই সপ্তাহে পরে বিষয়টি সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, ওই নার্স নৈনিতালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করতেন। গত ৩০ জুলাই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।

ঘটনায় জড়িত সন্দেশে রাজস্থানের যোধপুর থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে উত্তরপ্রদেশে শ্রমিকের কাজে যুক্ত ছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থল সংলগ্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ধৃতের নাম ধর্মেন্দ্র। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই নার্স ঘটনার দিন রুদ্রপুরের ইন্দ্রচক থেকে একটি টেম্পো ধরেন। সেখান থেকে তাঁর সর্বশেষ গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সেখানে ধর্মেন্দ্রকে দেখা যায়। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে অভিযুক্ত তার অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। অভিযুক্তে দাবি, ছিনতাইয়ের অভিপ্রায়ে নার্সের উপর হামলা চালায় সে। পরে তাঁকে একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও খুন করে। এরপর তাঁর কাছে থাকা টাকা-পয়সা, গয়না ও মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নার্স উত্তরপ্রদেশের বিলাসপুরের একটি কলোনির ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। তাঁর ১১ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। গত ৩০ জুলাই তিনি হাসপাতালে ডিউটিতে গিয়েছিলেন। তারপর আর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁকে না পেয়ে রুদ্রপুর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন। তদন্ত চালিয়েও প্রায় এক সপ্তাহ তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি পুলিশ। অবশেষে গত ৮ আগস্ট ডিবডিবা গ্রামের একটি ফাঁকা জমিতে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। যা ওই মহিলার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। অভিযোগ, ওই নার্সের টাকা-পয়সা ও গয়না লুঠ করার পর তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর শ্বাসরোধ করে খুন করেছে দুষ্কৃতী।


পুলিশ দেহটি উদ্ধারের পর প্রথমে ময়না তদন্তে পাঠায়। সেই রিপোর্ট পুলিশের হাতে আসার পর অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। উদ্ধার হয়েছে মৃত নার্সের চুরি যাওয়া মোবাইল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ৩০ জুলাই প্রতিদিনের মতো হাসপাতালে ডিউটিতে গিয়েছিলেন মহিলা। ফেরার পথে তাঁকে কোনওভাবে প্রলুব্ধ করে নির্জন স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এজন্য তাঁর গলার ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তাঁর কাছে থাকা টাকা-পয়সা ও গয়না লুট করে চম্পট দেয়।