২০১৪ সালে দেশে মাত্র ৫টি শহরে মেট্রো ছিল। আর ১০ বছরে সেই সংখ্যাটা বেড়ে ২১ হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত এক দশকে দেশজুড়ে মেট্রোর জন্য ৭০০ কিলোমিটার লাইন পাতা হয়েছে। এর ফলে দেশে মেট্রো লাইনের দৈর্ঘ্য হয়েছে ৯৪৫ কিলোমিটার।
এ ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা শুক্রবার তিনটি বড় পরিবহণ প্রোজেক্টে সবুজ সংকেত দিয়েছে। সেগুলি হল – থানের ইন্টিগ্রাল রিং মেট্রো রেল প্রোজেক্ট, পুনাতে মেট্রোর সম্প্রসারণ এবং বেঙ্গালুরুতে ৭৮টি কিলোমিটার লাইন স্থাপন। প্রতিটি প্রকল্পই ২০২৯ সাল থেকে চালু হয়ে যাবে। দেশের মেট্রো রেল পরিষেবার ভোল বদলে দেবে এই তিনটি প্রোজেক্ট।
মেট্রো নেটওয়ার্কের নিরিখে বিশ্বে প্রথম স্থানে রয়েছে চিন। তারপর রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, আমরা খুব তাড়াতাড়িই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাপিয়ে যাব। মেক ইন ইন্ডিয়ার জোরেই আমরা গোটা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসব।
তিনি আরও জানান, গুরুগ্রাম-মানেসর ও ধারুহেরা এবং সোনেপাত, পানিপথ করিডোরও শীঘ্রই অনুমোদিত হবে। বর্তমান সময়ে কাজের গতি বৃদ্ধির বিষয়টি বোঝাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে প্রতি মাসে গড়ে ৬০০ মিটার মেট্রো লাইন পাতা হত। সেটাই এখন ১০ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৬ কিলোমিটার হয়েছে। মাত্র ১০ বছরেই এই বদল প্রত্যক্ষ করেছে দেশ।
কেন্দ্রীয় আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, মেট্রোর কোচ তৈরির জন্য ভারত বিশ্বমানের পরিকাঠামো তৈরি করেছে। গত ৫ বছরে ১০০০-এর বেশি মেট্রো কোচ তৈরি হয়েছে দেশে।
তিনি আরও বলেন, এখন ভারত অন্য দেশের মেট্রো প্রোজেক্টেও হাত লাগাচ্ছে। দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশন এখন বাংলাদেশে মেট্রোর কাজ করছে। জাকার্তাকে পরামর্শও দিচ্ছে তারা। এছাড়া ইজরায়েল, সৌদি আরব, কেনিয়া এবং এল সালভাদর-ও দিল্লি মেট্রো রেল কর্পোরেশনের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।