করোনার জন্য উত্তরপ্রদেশে এনপিআরের কাজ পিছিয়ে গেল অনির্দিষ্টকালের জন্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বিবরিতি জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। ২০২১ সালে জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। তার আগে এনপিআর শেষ করতে বলা হয়েছিল রাজ্যগুলিকে।
একাধিক রাজ্য এনপিআর নিয়ে বিরোধিতা করেছিল। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ সব পরিকল্পনাতেই জল ঢেলে দিয়েছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে গোটা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সকলকে বাড়ি থেকে না বেরনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। লকডাউন রুখতে বলপ্রয়োগ করতে শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা দেশেই এখন করোনাভাইরাসের থাবা। মোদি সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে এনপিআর এবং জনগণনা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার ও জাতীয় নাগরিক পঞ্জীর বিরোধিতায় মুখর হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন রাজ্য।
এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে উত্তরপ্রদেশে। দফায় দফায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙঘর্ষ বাধে। ইটবৃষ্টি থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এর জেরে মৃত্যুও হয় বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারীর।