বুধবার রাতে অভিনেতা সইফ আলি খানের উপরে হামলার ঘটনায় শুক্রবার অভিযুক্তকে বান্দ্রা স্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই তন্নতন্ন করে অভিযুক্তকে খুঁজছিল মুম্বই পুলিশের ৩০টি টিম। কিন্তু পরে সংবাদসংস্থার এএনআই-এর খবর, বান্দ্রা স্টেশন থেকে যে সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এনে জেরা চলছিল, তাঁর সঙ্গে আদতে এই মামলার কোনও যোগসূত্রই নেই। অন্যদিকে আহত অভিনেতা সইফ আলি খান সম্পর্কে লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শিরদাঁড়ায় ২.৫ ইঞ্চির ছুরি গেঁথে ছিল, আর সেই কারণেই সেরিব্রোস্পাইনাল তরল বেরিয়েছিল। সূত্রের খবর, চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ২.৫ ইঞ্চির ওই ছুরি যদি তাঁর মেরুদণ্ডের ২ মিলিমিটার গভীরে গেঁথে যেত, তাহলে সাংঘাতিক বিপদ ঘটে যেতে পারত। আপাতত আইসিইউ থেকে সইফকে বের করে জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছে। শেষ পাওয়া খবর, অভিনেতার অবস্থা স্থিতিশীল।
কিন্তু সইফের উপর হামলার পাশাপাশি অভিনেতা শাহরুখ খানের সুরক্ষাও এবার বড়ো প্রশ্নের মুখে। বলা হচ্ছে, অভিনেতা সইফ আলি খানের আগে দুষ্কৃতীর টার্গেটে ছিলেন শাহরুখ খান। এমনটাই সন্দেহ দেখা দিয়েছে দিন কয়েক আগে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে শাহরুখের বাড়ির সামনে ইতিউতি ঘোরাফেরা করতে দেখে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪ জানুয়ারি শাহরুখ খানের বাড়ি মন্নতের সামনে এক ব্যক্তির সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা গিয়েছিল। মন্নতের লাগোয়া একটি বাড়ির পিছনের অংশে ৬ থেকে ৮ ফুট দীর্ঘ মই লাগিয়ে শাহরুখের বাড়ির ভিতরে উঁকিঝুঁকি মারার চেষ্টা করছিল। তবে রেলিংয়ের উপরে থাকা কাঁটাতারের জন্য শাহরুখের বাসভবনে ঢুকতে পারেনি সে। পুলিশের সন্দেহ, সইফের উপরে যে হামলা করেছে, সে-ই শাহরুখের বাড়িতে রেইকি করতে গিয়েছিল। সিসিটিভি ফুটেজে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তির উচ্চতা ও গঠনের সঙ্গে সইফের উপরে হামলাকারীর চেহারার যথেষ্ট মিল পাওয়া গিয়েছে বলেই খবর। তবে মনে করা হচ্ছে, অভিযুক্তকে এই কাজে সাহায্য করেছিল আরও দু-একজন। কারণ পুলিশের দাবি, মন্নতে ঢোকার জন্য যে মইটি অভিযুক্ত ব্যবহার করেছিল তা চুরি করে এনেছিল। লোহার ওই মইটি যথেষ্ট ভারী। সেটি বহন করতে আরও মানুষের সাহায্য প্রয়োজন।