দিল্লি, ২১ মার্চ— টিকিট বিক্রি করে নয়, বাতিল টিকিটেই পোয়া বারো রেলের৷ রেলের ওয়েটিং লিস্টে থাকা অনেক টিকিটই বাতিল হয়৷ আর এর থেকে একটা বিরাট আয় হয় ভারতীয় রেলের৷ তথ্যের অধিকার আইন বা আরটিআই আইনের আওতায় করা এক প্রশ্নের উত্তরে রেলের নিজেই জানিয়েছে, বাতিল টিকিট রেলওয়ের জন্য এক উল্লেখযোগ্য রাজস্বের উৎস হয়ে দাঁডি়য়েছে৷ তথ্য অনুসারে, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ওয়েটিং লিস্টে থাকা বাতিল হওয়া টিকিট থেকে ১,২২৯ কোটি টাকা আয় করেছে রেলওয়ে৷ মধ্য প্রদেশের আরটিআই কর্মী বিবেক পান্ডে এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন৷ তারই জবাবে রেল মন্ত্রক এই তথ্য ভাগ করে নিয়েছে৷ রেলের ভাগ করা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাতিল হওয়া টিকিট থেকে ধারাবাহিকভাবে আয় বেডে়ছে রেলের৷
আরটিআই-এর উত্তর অনুসারে, ২০২১ সালে, ওয়েটিং লিস্টে থাকা মোট ২.৫৩ কোটি টিকিট বাতিল হয়েছিল৷ এর থেকে রেলের আয় হয়েছে ২৪২.৬৮ কোটি টাকা৷ ২০২২-এ টিকিট বাতিল হয়েছিল ৪.৬ কোটি৷ আয় বেডে় হয়েছিল ৪৩৯ কোটি টাকা৷ একইভাবে, ২০২৩ সালে, রেলের মোট ৫.৩৬ কোটি টিকিট বাতিল হয়েছিল৷ রেলের আয় হয়েছিল ৫০৫ কোটি টাকা৷ আর ২০২৪ সালে শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই ৪৫.৮৬ লক্ষ টিকিট বাতিল হয়েছে৷ তা থেকে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা৷ ২০২৩-এর দীপাবলিগত তিন বছরের মধ্যে, সবথেকে বেশি টিকিট বাতিল হয়েছিল ২০২৩-এর দীপাবলির সময়৷ ২০২৩-এর ৫ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বরের মধ্যে ৯৬.১৮ লক্ষ টিকিট বাতিল হয়েছে৷ এই বাতিল টিকিট শুধু ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট নয়, এর মধ্যে কনফার্ম টিকিট, আরএসি টিকিটও ছিল৷ এর ফলে, বাতিল টিকিট থেকে ওই ১২ দিনে রেলের মোট ১০.৩৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে৷
টিকিটি বাতিলের জন্য টাকা কাটার নানা ক্যাটাগরি আছে৷ যেমন ধরুন ওয়েটিং লিস্টে থাকলে – যদি কোনও আরএসি-তে থাকা বা ওয়েটিং লিস্টে থাকা টিকিট বাতিল করা হয়, তাহলে যাত্রী প্রতি ৬০ টাকা করে কেটে নেওয়া হয়৷ যদি ৪৮ ঘণ্টা আগে বাতিল করা হয় – ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রার ৪৮ ঘন্টা আগে যদি কোনও কনফার্মড টিকিট বাতিল করা হয়, তাহলে টিকিট বাতিলের জন্য একটা মূল্য কেটে নেয় রেলওয়ে৷