• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

প্লাস্টিক নয়, মাটির ভাঁড়ই চালু রেলে

এবার থেকে দেশের সব রেল স্টেশনে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে মাটির ভাঁড় বা কুলহার।

এবার থেকে দেশের সব রেল স্টেশনে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে মাটির ভাঁড় বা কুলহার। (Photo: iStock)

এবার থেকে দেশের সব রেল স্টেশনে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে মাটির ভাঁড় বা কুলহার। এতদিন ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রেল স্টেশনগুলিতে প্লাস্টিকের কাপ বা গ্লাস ব্যবহারের রেওয়াজ থাকলেও, এবার থেকে তা নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। তার পরিবর্তে দেশের সর্বত্র স্টেশনগুলিতে ব্যহার করতে হবে মাটির ভাঁড়। রবিবার টুইট করে এই কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গােয়েল। 

তিনি টুইট করেন, স্টেশনে মাটির ভাঁড়ে পাওয়া যেত চা। পরে তার দখল নিল প্লাস্টিকের কাপ। খাদি ভিলেজ কমিশন ও রেল মন্ত্রক যৌথভাবে কাজ করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অবস্থিত ৪০০ টি স্টেশনে এখন মাটির ভাঁড়ে চা পাওয়া যায়। পরিকল্পনা করা হয়েছে প্লাস্টিক মুক্ত ভারত গড়ার। এই প্রকল্পে উল্লেখযােগ্য ভূমিকা থাকবে ভারতীয় রেলের।

তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই পরিষ্কার হয়েছে রেলের ভাবনা। যেখানে দেশের সর্বত্র রেল স্টেশনগুলিতে প্লাস্টিকের কাপ বন্ধ করে মাটির ভাঁড় চালু করার কথা বলা হচ্ছে। যদিও মাটির ভাঁড় ব্যবহারের প্রস্তাব নতুন নয়। লালুপ্রসাদ যাদব যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও প্লাস্টিকের বদলে মাটির ভাঁড় চালু করেছিলেন।

রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, রেল স্টেশনে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই প্লাস্টিকের কাপ বা গ্লাস ব্যহার নিষিদ্ধ করার কার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। একই সঙ্গে জড়িত রয়েছে মাটির ভাড় তৈরিতে ব্যস্ত কুটীর শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অগণিত শ্ৰমিরে স্বার্থ রক্ষার বিষয়টিও। 

প্লাস্টিকের কাপে বা গ্লাসে করে চা কিংবা দুধ খেলে প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক অংশ মানুষের শরীরে প্রবেশ করার সম্ভবনা অনেকে বেশি থাকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের এই সতর্কতার কথা মাথায় রেখেই এবার বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ। 

দিল্লিতে রেল মন্ত্রক সুত্রে দাবি, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই দেশের সব স্টেশনে মাটির ভাঁড়ে চা বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু প্লাস্টিকের বদলে মাটির ভাঁড়ে চা খেতে গিয়ে যাত্রীদের অতিরিক্ত কড়ি গুনতে হবে কিনা, সে ব্যাপারে অবশ্য রেল মন্ত্রক এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। 

এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেলের এক উচ্চপদস্থ কর্মচারী বলেন, স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টি অনেক বড়। স্থান-কাল-পাত্র নির্বিশেষে এটা প্রযােজ্য। ক্ষতিকারক প্লাস্টিকের কাপের পরিবর্তে স্বাস্থ্যকর মাটির ভাড়ে চা পান করতে গিয়ে যদি অতিরিক্ত কিছু পয়সা গুনতে হয় তাহলে মনে হয় না কেউ আপত্তি করবেন।