বিহারে তেলের ট্যাঙ্কারে মিলল ২০০ পেটি মদ। বুধবার হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের ট্যাঙ্কারে প্রায় ২০০ পেটি বিয়ার পাওয়া যায় । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মদ বোঝাই গাড়িটি বিহারের মুজাফফরপুর থেকে আটক করা হয়। গাড়িটি নাগাল্যান্ডের বলে আবগারি দফতর সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। গাড়ির চালক ও খালাসি পলাতক।
আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, মদ পাচারের খবর গোপন সূত্রে পান তাঁরা। এরপর একটি দল গঠন করে ট্যাঙ্কারটি চিহ্নিত করার খোঁজে নামেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা। ট্যাঙ্কারটিকে চিহ্নিত করার পর সেটিকে লক্ষ্য করে তাড়া করলে চালক ও মদ ব্যবসায়ী ট্যাঙ্কারটি জাতীয় সড়কে রেখে পালিয়ে যায়। সহকারী আবগারি কমিশনার বিজয় শেখর দুবে বলেন, ট্যাঙ্কারটিকে দেখার পর প্রথমে আধিকারিকরা রাস্তা অবরোধ করেন, যা দেখে চোরাকারবারীরা ট্যাঙ্কারটিকে একটি জাতীয় সড়কের দিকে ঘুরিয়ে দেয়। পরে ধাওয়া করে ট্যাঙ্কারটির নাগাল পেলেও চালক ও খালাসি পালিয়ে যায়। তাদের এখনও গ্রেফতার করা যায়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হওয়া মদ অরুণাচল প্রদেশে তৈরি করে পাচার করা হচ্ছিল বলে খবর।স্থানীয় যে ব্যবসায়ী মদ পাচার করেছিল তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন, তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিহারে মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে লোকেরা মদ সংগ্রহের জন্য নানা অসৎ উপায় অবলম্বন করে। চোরাকারবারীরা প্রায়ই মদ পাচারের জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে থাকে। কখনও কখনও অ্যাম্বুলেন্স এবং ট্রাকে করেও মদ পাচার করা হয়। এমন ঘটনাও ঘটেছে যেখানে চোরাকারবারীরা মদের বোতল রাখার জন্য পেট্রল ট্যাঙ্কের ভিতরে বগিও তৈরি করেছে।
প্রসঙ্গত, বিহারের সিওয়ান ও সারণ জেলায় গত সপ্তাহেই বিষমদ খেয়ে কমপক্ষে ৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও অনেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বিরোধীদের চাপে পড়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
বিরোধীদের অভিযোগ, নীতীশ কুমার মদ-মুক্ত বিহারের সপক্ষে সওয়াল করলেও বিহার মোটেই মদ-মুক্ত নয়। বিহারে দেদার বিক্রি হয় বেআইনি মদ। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলি থেকেও মদ ঢুকছে বিহারে। যদিও সরকারের আবগারি দফতরের কোনও রোজগার নেই।