দিল্লির ভোটের দিনক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের আগে রাজধানীতে রীতিমত উত্তাপ সাভারকর বনাম মনমোহনকে কেন্দ্র করে। দিল্লির এক কলেজের শিলান্যাস ঘিরে রীতিমতো যুযুধান বিজেপি ও কংগ্রেস।
শুক্রবার দিল্লির নজফগড়ের কাছে নতুন একটি কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২১ সালে এই কলেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল। ১৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই কলেজ। তার নাম নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ওই কলেজের নাম রাখা হয়েছে বীর সাভারকরের নামে। রাজধানীতে সাভারকরের নামে কলেজ তৈরি নিয়েই প্রবল আপত্তি তুলেছে কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, সাভারকার নয়, দিল্লিতে এই কলেজের নাম প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের নামে রাখা হোক। এর পাশাপাশি কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন অভিযোগ তুলেছে, যে সাভারকর ব্রিটিশদের কাছে মুচলেখা দিয়ে মাথা নিচু করেছিলেন, তাঁর নামে কলেজের নামকরণ কেন করা হবে? এর পিছনে উগ্র হিন্দুত্বের এজেন্ডা আছে বলে মনে করছেন তাঁরা। সেই কারণেই সাভারকরের নামে কলেজের নামকরণের সিদ্ধান্ত। এনএসইউআই-এর সভাপতি বরুণ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে দাবি জানিয়েছেন, সাভারকরের নামে কলেজের বদলে সদ্য প্রয়াত মনমোহন সিংহের নামে একটি বিশ্বমানের কলেজ ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হোক। কংগ্রেসের দুই সাংসদও প্রধানমন্ত্রীকে একই বার্তা দিয়েছেন।
এই বিতর্ককে গুরুত্ব দিতে একেবারেই নারাজ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কংগ্রেসের দাবি খারিজ করে যাবতীয় বিতর্ক উড়িয়ে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, ওই কলেজের নাম সাভারকরের নামেই হবে, মনমোহন সিংয়ের নামে নয়। এর সঙ্গে সঙ্গে গেরুয়া শিবির জানিয়েছে, সাভারকরকে অপমান করাটা কংগ্রেস দলের স্বভাবসিদ্ধ।
আসলে প্রয়াণের পরেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। তাঁকে সামনে রেখে দিল্লি নির্বাচনে শিখ ভোট টানতে চাইছে কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি চাইছে সাভারকরকে সামনে রেখে রাজধানীর ক্ষমতা দখল করতে।