জেলে গেলেন না, ফের সিবিআই হেফাজতে পাঠানাে হল চিদম্বরমকে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম সােমবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়ে ছিলেন, তাঁকে যেন তিহার জেলে পাঠনাে না হয়, কারণ তাঁর বয়স ৭৪। তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। চিদম্বরমের পক্ষে তাঁর আইনজীবী কপিল সিব্বল আবেদন করেন, তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হােক।
গত ২১ আগস্টে বন্দি হওয়া চিদম্বরম ১১ দিন ধরে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা কপিল বলেন, ‘চিদম্বরমকে কিছুটা নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। তিনি ৭৪ বছর বয়সী। তাঁকে গৃহবন্দি করা হােক তিহার জেলে না পাঠিয়ে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযােগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে জামিনের জন্য বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন , আপনি এভাবে মানুষকে অবমাননা করতে পারেন না। আদালত বলে, গৃহবন্দি কেবলমাত্র রাজনৈতিক বন্দিদের ক্ষেত্রেই প্রযােজ্য। পাশাপাশি আদালত জানতে চায়, চিদম্বরম কেন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এই আবেদন করছেন।
পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে অভিযােগ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন ২০০৭ সালে বিদেশ থেকে ৩০৫ কোটি টাকার তহবিল পাওয়ার জন্য আইএনএক্স মিডিয়াকে ছাড়পত্র দিয়েছিলেন তিনি, বিনিময়ে তাঁর ছেলে কার্তি চিদম্বরমের সংস্থাকে বিরাট অঙ্কের ঘুষ দেয় আইএনএক্স মিডিয়া। চিদম্বরম ও তাঁর ছেলের নাম জানিয়েছেন আইএনএক্সের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা পিটার মুখােপাধ্যায় ও ইন্দ্রাণী মুখােপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযােগ, তাঁরা তাঁদের মেয়ে শিনা বােরাকে হত্যা করেছেন। এই মুহূর্তে তারা জেলে রয়েছে।
যদিও চিদম্বরম ও তাঁর ছেলে সব অভিযােগ অস্বীকার করেছেন। গ্রেফতারের আগের দিন সন্ধে থেকে চিদম্বরমের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় আচমকাই তিনি হাজির হন কংগ্রেসের সদর দফতরে। এর ৯০ মিনিট পরেই। গ্রেফতার হন তিনি। প্রথম শুনানির সময় চিদম্বরম তাঁর বিরুদ্ধে তােলা ‘অসহযােগিতা’র অভিযােগ অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, তাঁকে সিবিআই হেফাজতে রাখার কোনও অর্থই হয় না। কারণ তিনি কোনও প্রমাণ নষ্ট করেননি অথবা তাঁর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু বিশেষ বিচারক অজয় কুমার কুলহার বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযােগ গুরুতর। এই সত্যকে অস্বীকার করা যায় না যে, বিস্তৃত ও গভীর অনুসন্ধানের প্রয়ােজন রয়েছে।