দিল্লি, ১১ জুন – নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর মন্ত্রীদের একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বার্তা , প্রকাশ্যে কোন বিষয় নিয়ে অযথা কোনরকম মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে হবে মন্ত্রীদের। তিনি বলেন, কেন্দ্রের সরকারের কাজের সমালোচনা বিরোধী শিবির করবেই। তবে সমালোচনার কারণ যাতে খোদ মন্ত্রীরাই না হয়ে যান। সোমবার সদ্য শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেখানে মোদি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মন্ত্রকের সঙ্গে সরাসরি জড়িত কোন ইস্যু ছাড়া অন্য কোনও বিষয়ে মন্তব্য না করাই শ্রেয়। শুধু তাই নয়, সমস্ত্র মন্ত্রীদের সময়ানুবর্তিতার পাঠও দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রকের আধিকারিকদের জন্য ইচিবাচক বার্তা বহন করবে, এমনভাবে চলার বার্তাও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রক বন্টনের পর মন্ত্রীদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। নয়া সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে একে একে ৭২ জন মন্ত্রীর পোর্টফোলিও ঘোষণা করা হয়। তারপরই ক্যাবিনেটকে একগুচ্ছ পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সম্বন্বয় রক্ষা করে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেক মন্ত্রীকে। কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় আলোচনা করতে হবে বলেও বার্তা এসেছে প্রধানমন্ত্রীর তরফে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা একাধিক বিষয় নিয়ে আলগা এমন মন্তব্য করেছেন যা নিয়ে পরে বিতর্ক তৈরী হয়েছে। ভোটের সময়ে এই মন্তব্যগুলিই বিরোধীদের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক তা চান না প্রধানমন্ত্রী। তাই ক্যাবিনেট বৈঠকের প্রথমদিনই এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তাঁর নির্দেশ, মন্ত্রকের সঙ্গে জড়িত নয় এমন বিষয়ে মন্তব্য করার কোনও প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি, নির্দিষ্ট সময় মেনে কাজ সম্পন্ন করার কথাও বলেছেন মোদি। মন্ত্রকে যেন সবসময়ে ইতিবাচক বাতাবরণ বজায় থাকে সেই পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই জোট সরকারে গুরুত্ব পাচ্ছে তেলুগু দেশম পার্টি, জেডি(ইউ), হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা, একনাথ শিন্ডের শিবসেনার মত একাধিক আঞ্চলিক দল। সোমবার সন্ধেয় কারা কোন দফতরের মন্ত্রী হচ্ছেন তা জানা যায়।
২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি । ২০১৯ সালে তাঁর নেতৃত্বে ফের সরকার গড়ে এনডিএ। দুইবারই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল বিজেপির। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও ২৪০টি আসন পেয়েছে গেরুয়া শিবির। এনডিএ-র শরিকদের নিয়ে সরকার গড়েছে তারা।