ভারত-চিন সীমান্তে শুরু সেনার স্বাভাবিক টহলদারি 

গালওয়ান সংঘর্ষের পর সাড়ে চার বছরের ব্যবধানে আবার আগের মতোই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ডেপসং এবং ডেমচকে টহলদারি শুরু করল ভারত ও চিন উভয় দেশের সেনা। দীপাবলির দিনে উভয় দেশের সেনার মধ্যে মিষ্টিমুখ করে সৌজন্য বিনিময় হয়। ভারত এবং চিন উভয় দেশই এই টহলদারি প্রসঙ্গে পরস্পরকে সৌজন্যের বার্তা দেয়। তার পরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর আবার আগের মতোই টহলদারি শুরু করল  দুই দেশের সেনা।

 
২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখের ডেপসং এবং ডেমচকে টহলদারি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সাড়ে চার বছর পর আবার এই দুই এলাকায় টহলদারি শুরু করল ভারত ও চিনের  সেনা। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা উভয় দেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করতে দুই এলাকায় সেনা টহলদারির বিষয়ে সহমত হয় দিল্লি এবং বেজিং।
 
রাশিয়ায় ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেখানে লাদাখ নিয়ে আলোচনা হয় উভয় দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। এরপরই লাদাখের ডেমচক এবং ডেপসং উপত্যকার বিতর্কিত অঞ্চল থেকে ‘ডিসএনগেজমেন্ট’ তথা সেনা পিছনো শুরু হয়। বুধবার সেই প্রক্রিয়া শেষ করে ভারত ও চিন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘শুধু ডিসএনগেজমেন্ট নয়, সরকারের প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি। তবে তার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।’