দেশের মধ্যে যতই নাগরিক সংশােধিত আইন (সিএএ) নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ হােক না কেন সরকার কোনও অবস্থাতেই তা প্রয়ােগ করা থেকে বিরত হবে না। লখনউতে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, বিক্ষোভ সমাবেশ যতই হােক সরকার এই আইন নিয়ে পিছু হঠবে না। যারা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে চান তারা চালাতে পারেন।
তিনি বলেন, এই আইন দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে নয়, বরং পক্ষে। তিনি বলেন, বিরােধীদলগুলি এই আইন নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে। সিএএ আইনে কোথাও কোনও নাগরিকের অধিকার হরনের কোনও উল্লেখ নেই।
তিনি বলেন, দেশভাগের সময়ে বাংলাদেশে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ এবং জৈন জনসংখ্যা ছিল ৩০ শতাংশ, এবং পাকিস্তানে ২৩ শতাংশ। কিন্তু বর্তমানে সেই সংখ্যা হ্রাস পেয়ে যথাক্রমে ৭ ও ৩ শতাংশ হয়েছে। তাহলে তারা গেল কোথায়। যারা সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি চলতি মাসের পাঁচ তারিখে জেএনইউতে সংঘর্ষের উল্লেখ করে বলেন, সেখানে যারা ভারত মাতাকে হাজার টুকরাে করার স্লোগান দেয় তাদের জেলে দেওয়া উচিত কিনা। তবে যারা ভারত মাতার বিরুদ্ধে স্লোগান দেবে তাদের জেলে পাঠানাে হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি কোনও প্রকাশ্য ফোরামে সিএএ নিয়ে রাহুল, মমতা, অখিলেশ, মায়াবতীর সঙ্গে আলােচনায় বসতে রাজি বলে জানান। তিনি জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে অযােধ্যায় আকাশচুম্বি রামমন্দির নির্মিত হয়ে যাবে। পুরানাে লখনউতে সিএএ বিরােধী বিক্ষোভরত মহিলাদের কম্বল পুলিশ ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযােগ। পুলিশ জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।