কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকায় ফেরার পথে কোনও শক্তি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না বলে দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করলেন রাজনাথ সিং । ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায়, কাশ্মীরি পণ্ডিতরা কাশ্মীরে ফিরলেই কোনও শক্তি তাদের থামিয়ে রাখতে পারবে না। সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারে ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক জোট বা এনডিএ যে ভূমিকা নিয়েছে, তা নিয়েও সদর্থক সওয়াল করেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
জনসভা থেকে পাকিস্তানের উদ্দেশে কড়া বার্তাও দেন রাজনাথ সিং । কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতের ক্ষতি করলে, সে যে-ই হােক, আমরা কিন্তু তাকে শান্তিতে থাকতে দেব না। তাঁর কথায়, ‘আমরা কারও গায়ে হাত দেব না। তবে কেউ যদি বিরক্ত করে সেক্ষেত্রে তাকে আমরা শান্তিতে থাকতে দিতে পারি না’। রাজনাথের বক্তব্যের নিশানা যে পাকিস্তান, তা আলাদা করে উল্লেখের প্রয়ােজন পড়ে না।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের বাড়বাড়তে ১৯৯০ সালের শেষের দিকে কাশ্মীরি পণ্ডিতরা উপত্যকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। সে প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাজনাথ সিং বলেন, কোনও শক্তি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কাশ্মীরে ফেরা আটকাতে পারবে না। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা তাদের বাড়িতে ফিরবেন।
সভায় নাগরিকত্ব সংশােধনী আইন (সিএএ)’র পক্ষে সওয়াল করতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে। বলেন, কোনও ধর্মের মানুষের আবেগে আঘাত করার জন্য এই আইন নয়। বরং ধর্মীয় নিপীড়নের যাঁরা শিকার, তাদের স্বস্তি দিতেই এই আইন।
মহাত্মা গান্ধিকে টেনে এনে বলেন, গান্ধিজি একসময় জওহরলাল নেহরুকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, হিন্দু ও শিখদের মতাে সংখ্যালঘুরা যদি ভারতে ফিরতে চায়, তাঁদের নাগরিকত্ব দিও। সিএএ’র মাধমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি গান্ধির সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
ইতিধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য সিএএ প্রয়ােগে অস্বীকার করেছে। বিধানসভায় এ নিয়ে প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে রাজনাথ বলেন, এটি কেন্দ্রীয় আইন। প্রত্যেকের এটা অনুসরণ করা উচিত। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তােপ দেগে বলেন, কংগ্রেস সিএএ নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। রাজনীতি করতে গিয়ে দেশের প্রতি দলের কর্তব্য ভুলে যাওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি’র এই নেতা।