• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ‘ না ‘, ১২ বছর পর মিলল ‘ সুবিচার ‘ 

মুম্বাই, ১১ মে – তৃতীয় সন্তানের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন কৰ্মরতা মা। কিন্তু সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি সেই সংস্থা। ১২ বছর আগের সেই মামলায় মহিলাকে মাতৃত্বকালীন সময়ের সবরকম সুযোগ সুবিধে দেওয়ার নির্দেশ দিযেছে বম্বে হাই কোর্ট। সন্তানসম্ভবা কর্মীর প্রতি ওই সংস্থার আরও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছে আদালত। ২০১২ সালে এয়ারপোর্ট অথরিটি

মুম্বাই, ১১ মে – তৃতীয় সন্তানের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন কৰ্মরতা মা। কিন্তু সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি সেই সংস্থা। ১২ বছর আগের সেই মামলায় মহিলাকে মাতৃত্বকালীন সময়ের সবরকম সুযোগ সুবিধে দেওয়ার নির্দেশ দিযেছে বম্বে হাই কোর্ট। সন্তানসম্ভবা কর্মীর প্রতি ওই সংস্থার আরও সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছে আদালত।

২০১২ সালে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া -তে কর্মরত ছিলেন ওই মহিলা। সেপ্টেম্বর মাসে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। ওই মহিলার প্রথম পক্ষের এক সন্তান ছিল। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর সহানুভূতির ভিত্তিতে তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন মহিলা। দ্বিতীয় বিবাহের পর তাঁর আরও দুটি সন্তান হয়। অভিযোগ, দ্বিতীয় পক্ষের দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের আগে সংস্থার কাছে মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন মহিলা। কিন্তু তাঁর আবেদন নাকচ হয়ে যায়। এর পর ২০১৫ সালে সংস্থার কর্মী সংগঠনের সহযোগিতায় এবং মায়ের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হন ভুক্তভোগী মহিলা। বম্বে হাই কোর্টে নয় বছর ধরে সেই মামলা চলে।
 

এএআই-এর যুক্তি ছিল, মহিলা তৃতীয়বার মা হতে চলেছেন। তাঁদের সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও মহিলা কর্মীর দুইয়ের অধিক সন্তান হলে, অর্থাৎ তৃতীয়বারের ক্ষেত্রে মাতৃত্বকালীন ছুটি পাওয়া যাবে না। সেই নিয়ম মেনেই মহিলার আবেদন নাকচ করা হয়েছিল বলে আদালতে জানান সংস্থার আইনজীবী।

বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতি এ এস চান্দুরকর এবং বিচারপতি জিতেন্দ্র জৈনের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘‘কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যথাযথ সম্মান করা উচিত। তাঁদের জীবনে সন্তানধারণ অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া। তাই কোনও মহিলা কর্মীর সন্তানের জন্মের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থা  থেকে যা যা করা উচিত, সংস্থার মালিকের সহানুভূতির সঙ্গে তাই করা উচিত। সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে এক জন মহিলা যখন কর্মক্ষেত্রে নিজের কর্তব্য পালন করে থাকেন, তেমনি একই ভাবে উক্ত মহিলা কর্মীর শারীরিক সমস্যা গুলো কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় রাখা উচিত ।’’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করার আগে ২০০৯ সালে আরও এক সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মহিলা। সে সময়ে তিনি ওই সংস্থাতেই কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সে সময়ে তিনি সন্তান জন্মের সময়ে মাতৃত্বকালীন ছুটি নেননি। প্রথম বার মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন ২০১২ সালেই। আদালত জানিয়েছে, মহিলার ছুটির আবেদন নাকচ করা উচিত হয়নি সংস্থার।আদালত ওই মহিলাকে আট সপ্তাহের মধ্যে তাঁর পাওনা মাতৃত্বকালীন ছুটির সবরকম সুযোগ সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ।